নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: ইংলিশবাজার শহরজুড়ে পুরকর বকেয়া ৩৩ কোটিরও বেশি। বকেয়া কর আদায়ে এবার বাড়ি বাড়ি নোটিস জারি করতে শুরু করল পুর কর্তৃপক্ষ।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, পুরসভার নাগরিকদের অনেকের কর বাকি আছে। আমরা নোটিস দিতে শুরু করেছি।
ইংলিশবাজার পুরসভা সূত্রে খবর, এপ্রিল মে এবং জুন মাসে বাড়ি বাড়ি পুর আদায়ের জন্য বিল পাঠানো হয়েছে। এরপর বকেয়া কর মেটানোর জন্য তিন মাস সময়সীমা দেওয়া হয়। জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর। কিন্তু অক্টোবরে পুজো থাকায় ওই মাসেও ছাড় দেওয়া হয়।
নভেম্বর থেকে পুরসভা বাড়ি বাড়ি ফোন করতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও কেউ পুরকর দিতে অনীহা প্রকাশ করলে বাড়ির মালিককে নোটিস পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুর কর্তৃপক্ষ। বকেয়া কর আদায়ে নোটিস জারির পর করদাতাকে পনেরা দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। তাতেও যদি কেউ বকেয়া কর না মেটায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনদরদী পুরবোর্ড সচরাচর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায় না। আর সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়েই বছরের পর বছর পুরকর প্রদানে বহু মানুষের মধ্যে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে ইংলিশবাজার শহরের ২৯ টি ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ৩৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৩২ টাকা পুর কর বকেয়া আছে। যারমধ্যে প্রাইভেট হোল্ডিং সহ বাণিজ্যিক আবাসন, রাজ্য সরকারি অফিস কেন্দ্র, সরকারি অফিসও রয়েছে।
পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নোটিস পাওয়ার পরও যারা পুরকর মেটাবেন না তাঁদের বিষয়টি নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপন করা হবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই ২০২৪ সালের বছরের শেষ বোর্ড মিটিং ডাকতে চলেছে পুরসভা। সেখানে পুরসভার ২৯ জন কাউন্সিলারই উপস্থিত থাকবেন।
তাঁদের সামনেই ওয়ার্ড ধরে ধরে বকেয়া পুরকরের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হবে। কর খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মিটিংয়ে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে পুরবোর্ড। পুরকরের পাশাপাশি ইংলিশবাজার শহরে কয়েক লক্ষ টাকা জলকরও বকেয়া আছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু জায়গায় ব্যাপক পরিমাণ কর বকেয়া থাকায় জলের সংযোগ কাটার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুরসভা।