সংবাদদাতা, পতিরাম: বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সঙ্কট ছিলই। এবার নতুন সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ কয়েকজন চিকিৎসক এবার উচ্চশিক্ষার জন্য হাসপাতাল ছাড়তে চলেছেন। এছাড়াও একজন অবসর নেবেন কিছুদিনের মধ্যে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে কয়েকজন হাসপাতাল ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় ফের চিকিৎসক সঙ্কট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। জেলায় মেডিক্যাল কলেজ না থাকায় এই হাসপাতালে সারাবছরই রোগীর চাপ থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক চিকিত্সক নিয়েই ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। ফের একঝাঁক চিকিত্সক চলে গেলে পরিস্থিতি কতটা মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে এবার কপালে ভাঁজ কর্তৃপক্ষের।
সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, চিকিৎসক সঙ্কট থাকলেও পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হচ্ছিল। কয়েকজন চিকিৎসক পড়াশোনা করতে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাবেন। সেক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রায় সব বিভাগেই প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক চিকিৎসক নিয়ে চলছে পরিষেবা। মর্গে ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক প্রয়োজন। কিন্তু নিয়োগ না হওয়ায় বছর পাঁচেক নাক, কান, গলার বিশেষজ্ঞ এবং জেনারেল ফিজিশিয়ানরা ময়নাতদন্ত করছেন। এজন্য রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত করাতে দেহ পাঠাতে হচ্ছে ভিনজেলায়। সেক্ষেত্রে হয়রান হতে হয় পরিজনদের। এছাড়া প্রসূতি, অ্যানাস্থিসিয়া, সিসিইউ, অর্থো সহ এমন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। তিনজন সার্জেনকে দিয়ে কোনওরকমে শল্য চিকিত্সা পরিষেবা চলছে। এরই মধ্যে অনেক বিভাগ থেকে পাঁচ থেকে সাতজন চিকিৎসক চলে যাবেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যার মধ্যে সিসিইউ এর চারজনের মধ্যে তিনজন উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যাবেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
জিডিএমও বিভাগের চিকিৎসকরা হাসপাতালের এমার্জেন্সি সামাল দেন। কিন্তু ওই বিভাগে ২৬ জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র চার। সেখান থেকেও একজন উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে ওয়ার্ড এবং বহির্বিভাগের পরিষেবা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে