নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ার কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। সোমবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) কর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে এই বার্তা দিয়েছেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য। এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবনে পিএইচই কর্তাদের পাশাপাশি সহযোগী দপ্তর ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পিএইচই দপ্তরের কাজ নিয়ে জেলাশাসক বাড়তি নজরদারি শুরু করেছেন। তারপরেই কাজে গতি এসেছে। গত দু’মাসে কাজের অগ্রগতি প্রায় ২৩ শতাংশ। সার্বিকভাবে ৮৫ শতাংশ বাড়িতে জল সরবরাহের পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থাকে জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই পিএইচই দপ্তরকে জল সরবরাহ করতে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হয়। সেই কাজে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ঢিলেমি করে বলে বৈঠকে অভিযোগ উঠেছে। বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল, জলের পাইপলাইন বসাতে গিয়ে রাস্তা খুঁড়ে দেওয়া এবং তা সংস্কার না করার অভিযোগ। এদিন জনস্বাস্থ্য দপ্তর পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছে, সিংহভাগ রাস্তা সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত করে দেওয়া হবে। এই কাজে গাফিলতির অভিযোগে এদিন বৈঠক থেকে ৪৩টি ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্তারা এদিন বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বৈঠকের পরে বলেন, জেলাশাসক কড়া হাতে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ দেখছেন। এদিনের বৈঠক থেকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বত্র জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো গড়তে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র