‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রথম কিস্তির টাকা পাচ্ছেন ১২ লক্ষ উপভোক্তা
বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলার জন্য ‘ঐতিহাসিক দিন’। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের শুভ সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘর থেকে সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। আবাস যোজনায় বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম হলেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র, এমনটাই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। বারবার আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ৬৯টি কেন্দ্রীয় দল এসেছে বাংলায়। তারপরেও রাজ্যেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, নবান্ন সভাঘর থেকে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে না থেকে রাজ্যই নিজের উদ্যোগে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফায় বাড়ি তৈরি করার জন্য দেওয়া হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হবে আরও ৬০ হাজার টাকা। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে, ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্ন সভাঘরে ৪২ জন উপভোক্তার হাতে চেক ও স্মারকপত্রও তুলে দেন তিনি। আজ, মঙ্গলবার এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুই কিস্তিতে আবাসের টাকা দেওয়া হবে। ১২ লক্ষ উপভোক্তা এই টাকা পাবেন। ৩-৪ দিনের মধ্যে সকলেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেয়ে যাবেন। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের মোট ১৪ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। যোগ্য উপভোক্তাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য কড়া হাতে সার্ভে করা হয়েছে। প্রায় ৩৪ লক্ষ বাড়িতে সমীক্ষা চলেছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। স্বচ্ছভাবে সমীক্ষা করা হয়েছে। তারপরেই সেখান থেকে ২৮ লক্ষ যোগ্য উপভোক্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে সেই ২৮ লক্ষের মধ্যে ১২ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেওয়া হল। বাকি ১৬ লক্ষ পরিবারকে কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় তাহলে তাঁদের রাজ্যই দিয়ে দেবে। ২০২৬ সালের আগেই দুই কিস্তিতে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে।’