মেশিন বিকল, গ্রামীণ হাসপাতালে ২ বছর ধরে বন্ধ এক্স-রে পরিষেবা
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে দু’বছর ধরে এক্স-রে মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে আছে। রোগীদের টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। অবিলম্বে মেশিনটি সারাই বা নতুন মেশিন আনার দাবিতে স্থানীয়রা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন মেরামতের জন্য বারবার দাবি জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তালডাংরার বিএমওএইচ অরিজিৎ মণ্ডল বলেন, এক্স-রে মেশিনটি ঠিক করার জন্য সিএমওএইচকে জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছেন। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি অনুমতি পাওয়া যাবে।
হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এলে অনেক রোগীকে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরও এক্সরে করানোর প্রয়োজন থাকে। সেক্ষেত্রে রোগীকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের বাইরে এক্স-রে করাতে নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগীদের টাকা খরচের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পাঁচমুড়ার বাসিন্দা শ্যামল ঘোষ বলেন, আমার এক আত্মীয় তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ডাক্তার তাঁকে বুকের এক্স-রে করতে বলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন খারাপ। আমরা খুব গরিব। তবু বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে আনতে হল। যাঁদের টাকা আছে, তাঁরা নাহয় বাইরে করাতে পারেন। কিন্তু আমাদের মতো গরিব মানুষের খুব সমস্যা হয়।
বিবড়দার বাসিন্দা সৌরভ মাঝি বলেন, আমার এক আত্মীয় পথ দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পেয়েছে। এক্স-রে করানো প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে করার ব্যবস্থা না থাকায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দিয়েছে। রোগীদের স্বার্থে অবিলম্বে হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন মেরামত অথবা নতুন মেশিন বসানো জরুরি।
তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি বহু পুরনো। বর্তমানে অনেক উন্নত মানের মেশিন বেরিয়েছে। সেজন্য তালডাংরার বাসিন্দারা হাসপাতালে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসানোর দাবি তুলেছেন।
পাঁচমুড়া, তালডাংরা, বিবড়দা, খালগ্রাম, হাড়মাসড়া, আমডাংরা এলাকার বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। রোজ কয়েকশো রোগী আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসেন। রোজ গড়ে ৫০জনের বেশি রোগী ইনডোরে ভর্তি থাকেন। ইনডোর ও আউটডোরের অনেক রোগীরই এক্স-রে করানোর প্রয়োজন পড়ে। তাই তাড়াতাড়ি এক্স-রে পরিষেবা চালুর দাবি উঠেছে।