বছর পেরিয়ে গেলেও থমকে অমৃত ভারত প্রকল্পে অম্বিকা কালনা স্টেশনের উন্নয়ন
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালনা: রেলের তরফে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে অম্বিকা কালনা স্টেশন সাজিয়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল। প্রায় ১৬ মাস হতে চললেও কালনা স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্মের দিকে একটি টিকিট কাউন্টার নির্মাণ ছাড়া কাজের অগ্রগতি তেমন দেখা মিলছে না। স্টেশন চত্বরে কিছু জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে মাত্র। আধুনিক স্টেশন গড়ার কোনও কাজ দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।
ব্যান্ডেল-কাটোয়া রেল পথের মধ্যে রয়েছে অম্বিকা কালনা স্টেশন। ২০২৩ সালের আগস্টে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কালনা স্টেশন আধুনিক করার প্রকল্পের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক বছরের মধ্যে ঝাঁ-চকচকে স্টেশন করার কথা বলা হয়েছিল। স্টেশনের দু’দিকে আধুনিক টিকিট কাউন্টার, বিশ্রামাগার, শৌচালয়, পানীয় জল, চওড়া রাস্তা সহ আধুনিক পার্কিংজোন থাকবে। স্টেশন চত্বরে দখল করে থাকা দোকান ও বসতি উচ্ছেদের নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। প্লাটফর্ম চত্বরে দখল উচ্ছেদ হলেও বাইরের অংশে কোনও উচ্ছেদ হয়নি। এক নম্বর প্লাটফর্মের দিকে গাছপালা কাটা হয়। পুরানো রেল আবাসনের কিছু অংশও ভাঙা হয়। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে কালনার কাজের গতি দেখে অনেকে ঠাট্টা করে বলছেন, সেজে উঠতে অমৃতকাল সময় লাগবে না তো? চলমান সিঁড়ির দাবি পূরণ হওয়া নিয়েও সংশয়ে যাত্রীরা।
নিত্যযাত্রী অমল কর্মকার বলেন, আমরা সবসময় রেলের কাজের গতির প্রশংসা করি। অথচ শিলান্যাসের ১৬ মাস কেটে গেলও কালনা স্টেশন চত্বরে অমৃত ভারত প্রকল্পের কোনও উন্নয়নই হচ্ছে না। এসটিকেকে রোড থেকে স্টেশনে ঢোকার রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। সেই দিকেও নজর নেই রেলের। হাওড়া-কাটোয়া সুবার্বান প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য বিষ্ণুপদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের কাজের একদমই গতি নেই। আমরা একাধিকবার রেল আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা চাই রেল কর্তৃপক্ষ কালনা স্টেশনের প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করুক। এছাড়াও কালনা স্টেশনে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ায় না। সেই বিষয়ে আমরা রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ফের আমরা এই বিষয় নিয়ে আন্দোলনে নামব।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে ৬২টি স্টেশন সেজে উঠবে। বিভিন্ন স্টেশনের কাজ চলছে। কালনা স্টেশনেও কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। তালিকায় যখন রয়েছে, তখন কাজ শেষ হবেই। -নিজস্ব চিত্র