বাড়িতে জলের সংযোগে অব্যবহৃত টাকা ফেরাতে পুরসভাগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: অম্রুত-২ প্রকল্পে কোন কোন পুরসভায় কাজের অগ্রগতি কেমন, সে সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হল। যে পুরসভায় এখনও এই প্রকল্পে টাকা পড়ে আছে তা ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন দার্জিলিং পুরসভায় জলের সরবরাহের অভাবের জন্য সেভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি পুরসভাতেই এ ব্যাপারে শুরু হচ্ছে সমীক্ষার কাজ। ইতিমধ্যে ১২১টি পুরসভায় অম্রুত-২ প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার কাজ করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে শহর এলাকায় বাড়ির সংখ্যা ৬৪ লক্ষ ৫১ হাজার। তার মধ্যে ৪৭ লক্ষ ৪১ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। এখন বাকি ১৬ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য পুরদপ্তরের। দশ হাজার আট কোটি টাকা খরচ করে ১৬ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সেই কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুর দপ্তরের সচিব গোলাম আনসারি এবং আম্রুত প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কোন কোন পুরসভা ভাল কাজ করতে পারছে না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ঠিক হয়, যে সব পুরসভায় এখনও টাকা পড়ে আছে, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে এবং সেই টাকা কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে অম্রুত-১ প্রকল্পের যে ৫০ কোটি রয়ে গিয়েছিল, তা ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।। এবারও সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা চাই দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ হোক। শহরাঞ্চলে প্রত্যেকের বাড়িতে জল পৌঁছে যাক। যদি কোথাও ত্রুটি থাকে, দ্রুততার সঙ্গে তা ঠিক হোক। কোনও পুরসভায় যদি টাকা পড়ে থাকে, তা ফিরিয়ে নিয়ে এসে কলকাতার উন্নয়নে লাগানো হবে। টাকা যাতে চলে না যায়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য কোন পুরসভায় কাজের অগ্রগতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এই প্রকল্পে মাত্র ৪০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, ৫৫ শতাংশ রাজ্য সরকারের ভাগ আর বাকি পাঁচ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে দিতে হয়। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।