এই সময়, গোরুমারা: নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর পর্যটকদের জন্য। গুনতে হবে না বাড়তি কানাকড়ি। কিন্তু জঙ্গলের আরও গভীরে যাওয়া যাবে। গোরুমারায় বেড়াতে এসে এবার অতিরিক্ত চার কিলোমিটার বেশি জঙ্গল ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা। এর জন্য বাড়তি কোনও অর্থ খরচ করতে হবে না পর্যটকদের। গোরুমারা গেট থেকে সাত কিলোমিটার পর্যন্ত ঘোরার পরিবর্তে এবার এগারো কিলোমিটার জঙ্গলের রাস্তায় ঘোরার সুযোগ পাবেন গোরুমারার যাত্রাপ্রসাদ, নজরমিনারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। বন দপ্তরের এই সিদ্ধান্তে খুশির হওয়া পর্যটক থেকে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বুধবার বিকেলে গোরুমারাতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের থেকে অসুবিধা, সমস্যার কথা শুনতে জিপসি করে জঙ্গলে ভ্রমণে আসেন গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ পর্যটকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে থাকা গোরুমারার টিকিট কাউন্টার থেকে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা জিপসিতে চেপে গোরুমারা যাত্রাপ্রসাদ, নজরমিনারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ডিএফও।
জঙ্গলে বেড়াতে এসে কোনওরকম অসুবিধা বা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন কিনা পর্যটকরাদের জিজ্ঞাসা করেন দ্বিজপ্রতিম। কলকাতা থেকে গোরুমারা বেড়াতে আসা পর্যটক অহনা মিত্র, শ্রিয়া সাহা , শিবম দাসরা জানান, ডুয়ার্সের বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে বন দপ্তর যদি আরও উদ্যোগে নেয়, তবে তা বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের জন্য ভালো হয়। গোরুমারাতে ঘুরে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।
ডিএফও বলেন, ‘প্রতিবছর ডুয়ার্সের গোরুমারাতে প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসেন। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আর কী কী করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।’ তিনি জানান, গোরুমারায় আরও চার কিলোমিটার অতিরিক্ত পর্যটকদেরকে ঘোরানো হবে। তার জন্য যাত্রাপ্রসাদ থেকে মেদলার নজরমিনারের দিকে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। গোরুমারার পাশাপাশি চাপরামারির জঙ্গলের রাস্তাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ী উজ্জ্বল শীল বলেন, ‘বন দপ্তরের এই উদ্যোগ শক্তি প্রশংসনীয়। এর ফলে পর্যটকরা আরও আকৃষ্ট হবেন।’