দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীর ছেলেকে মারধর, শাসকদলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের কাউন্সিলারের দাদাগিরি। বাগুইআটির পর এবার নরেন্দ্রপুর। দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীর নাবালক ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রঞ্জিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এখানেই থামেননি তিনি, দোকান ভাঙচুরের পর তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুব্রত সরকার নামে ওই ব্যবসায়ী। আতঙ্কে ভুগছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। তাঁরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলার রঞ্জিত মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজারে সুব্রতবাবুর দু’টি দোকান রয়েছে। একটি বাসনের, অন্যটি উপহার সামগ্রীর। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর ছেলে বলেন, উপহারের দোকানে বসেছিলাম। রঞ্জিতবাবু এসে দোকানের শাটার বন্ধ করতে বলেন। গালিগালাজ করেন। আচমকা চড়-থাপ্পড় মারার পাশাপাশি মাথার চুল ধরেও টানেন। এরপর শাটারে লাথি মারেন। আশপাশের লোকজন এসে আমাকে বাঁচান। তারপর কাউন্সিলার দোকানে তালা দিয়ে চলে যান। কেন এই হামলা? ব্যবসায়ীর দাবি, এই জায়গাটি দখল করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সাত বছর আগেও আমার উপর হামলা করেছিলেন রঞ্জিতবাবু। এদিকে, অভিযুক্ত কাউন্সিলার অবশ্য বলছেন, ‘ওইটুকু বাচ্চা ছেলের গায়ে হাত দেব! এখনও ১৭ পেরয়নি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরা কেন এসব বলেছে, জানি না। ওখানে আমার জমি নেই, কোনও কিছু নেই। কেন ওকে মারতে যাব!’
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রঞ্জিতবাবুর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে পুরসভার একটি অংশ। তাঁরা বলছেন, তিনি দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (সিআইসি) সদস্য। অথচ বেশিরভাগ মিটিংয়েই গরহাজির থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রঞ্জিতবাবু জানান, তিনি অসুস্থ বলে সব মিটিংয়ে যেতে পারেন না।