নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জামাত ও বিজেপি-আরএসএসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। শনিবার জলপাইগুড়িতে দলের জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে এমনই মন্তব্য করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জামাত যা করছে, এদেশে বিজেপি ও আরএসএস সেটাই করছে। শুধু রং আলাদা। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা ধর্মীয় হিংসার প্রতিফলন। এদেশও সেই পরিস্থিতির দিকে এগচ্ছে। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র না থাকলে কী হয়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ বাংলাদেশ। তাই যেভাবেই হোক গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে হানাহানি বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে একহাত নেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। বলেন, বিজেপি তো সবসময় ডবল ইঞ্জিনের কথা বলে। তাহলে মণিপুর, অসমে কী হচ্ছে। জলপাইগুড়ির সম্মেলন থেকে আরও একবার দলের কর্মীদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করেন, সিপিএমকে ভোট দিয়ে কী হবে। তোমরা তো ছোট হয়ে গিয়েছ। তোমাদের ভোট দেওয়া মানে তো ভোট নষ্ট করা। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে। যাঁরা অভিমানে কিংবা ভয়ে যে কারণেই হোক না কেন সিপিএমের পাশ থেকে সরে গিয়েছেন, তাঁদের আবার ফেরাতে হবে। দলের মিটিং, মিছিলে আনতে হবে।
সিপিএমে নতুন শক্তির সমাহার দরকার। দেশে কিংবা রাজ্যে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা হলে জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলগুলি প্রশ্রয় পায়, আশ্রয় পায়। এ ঘটনা রুখতে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা কি নেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন সেলিম। তৃণমূলে ফাটল ধরেছে বলে দাবি করে তাঁর তোপ, শীঘ্রই একটি দক্ষিণপন্থী দল তৈরি হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনও হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কিংবা বিজেপিতে যাঁদের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যাঁরা কল্কে পাচ্ছেন না, তাঁরাই সেই দলে নাম লেখাবেন। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা সিপিএম থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলের মধ্যে দিয়ে তাঁরা অনেকেই আবার ফিরছেন বলে এদিন দাবি করেন দলের রাজ্য সম্পাদক। কচিকাঁচাদের সঙ্গে সেলিম। জলপাইগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।