• রবি সকালে গজলডোবা রোডের পারো মুন্ডা বাজারে আগুন, ছাই ন’টি দোকান
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রাজগঞ্জ: রবিবার দুপুরে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ন’টি দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গজলডোবা তিস্তা ক্যানেল রোডের পারো মুন্ডা বাজারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথমে একটি মুরগির মাংসের দোকানে আগুন লাগে।‌ এরপর দ্রুত তা পাশের দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সেইসঙ্গে পুলিস ও দমকলকে খবর দেওয়া হয়। ভোরের আলো থানার পুলিস এবং ফুলবাড়ি ও শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্র থেকে দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে দমকলের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে ন’টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকান গুলির মধ্যে মুদিখানা, স্টেশনারি, ওষুধ, চায়ের দোকান, বাইকের গ্যারেজ ও সোনার দোকান রয়েছে। পুলিস ও দমকল অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে।


    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা রায়। তিনি বলেন, আগুনে সুভাষ রায়ের মুরগির দোকান, ধরু রায়ের চায়ের দোকান, বিজয় মণ্ডলের দর্জির দোকান, প্রীতিশ রায়ের ওষুধের দোকান, সঞ্জিত রায়ের মোবাইল সারাইয়ের দোকান, ননী মণ্ডলের সোনার দোকান পুড়ে গিয়েছে। প্রায় কেউই কোনও জিনিসপত্র বাঁচাতে পারেননি। কীভাবে আগুন লাগল তা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সাধ্যমতো সাহায্য করা হবে। 


    খবর পেয়ে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি  রূপালী দে সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বিধায়ক বলেন, পারো মুন্ডা বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ন’টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান তার ব্যবস্থা করব।


    সোনার দোকানদার ননীবাবু বলেন, কীভাবে আগুন লাগল তা বলতে পারছি না। তবে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। দোকান বন্ধ করে খাওয়া-দাওয়া করতে গিয়েছিলাম। ফোনে খবর পেয়ে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দোকান থেকে সোনা রূপো কিছুই বের করতে পারেনি। দমকলের ইঞ্জিন যখন এসেছে তখন সমস্ত দোকানপাট আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দোকানের ভিতরে দেড় কেজি রূপো এবং ১০ গ্রাম সোনা ছিল। এখন কী করব, তা বুঝতে পারছি না। রাজগঞ্জের বিধায়ক এসেছিলেন। তিনি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।


    (আগুন নেভানোর চেষ্টা স্থানীয়দের। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)