সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বনদপ্তর বক্সায় হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে সহ সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নোটিস জারি করায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই সমস্যা নিয়ে রবিবার বক্সার পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে বলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন রাজ্যসভার সাংসদ। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন সাংসদ। এতে আপাতত ভরসা পেলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
প্রকাশচিক বরাইক বলেন, আমাদের সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। আমরা বক্সায় উদ্ভূত এই সমস্যায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের পাশে আছি। তবে সোমবার আদালতে এনিয়ে শুনানি আছে। যদি উচ্ছেদের মামলায় স্থগিতাদেশ না মেলে তবে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
রবিবার রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একুশ মাইল বস্তিতে এই আলোচনা সভা হয়। সভায় বক্সার হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে সহ সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ১৫০ জন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। এতে জেলা পরিষদ সদস্য জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ বাণীকান্ত মারাক উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার পর ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি পার্থসারথী রায় বলেন, আমরা রাজ্যসভার সাংসদের আশ্বাসে অনেকটাই ভরসা পেয়েছি। রাজ্য সরকার বরাবরই আমাদের পাশে থেকেছে। আশা করছি এবারের সমস্যাতেও থাকবে। সাংসদ রাজ্য সরকারের আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা বলায় আমরা আরও ভরসা পাচ্ছি। সোমবার আদালতে এই মামলায় যদি স্থগিতাদেশ না পাওয়া যায় তাহলে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।
প্রসঙ্গত, বক্সা জঙ্গলের ভিতরে ও বাইরে হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে সহ প্রায় ১৫০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে। এই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এদিকে, রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্ট, জয়ন্তী ও সান্তলাবাড়িতে বনদপ্তরের টাঙানো এই বন্ধের নোটিসের কিছু ফ্লেক্স ব্যানার খুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এটা করেছে তা জানা যায়নি। - নিজস্ব চিত্র।