• অপরূপ রোহিণীতে পাথুরে রাস্তাই বিভীষিকা
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সায়ন চট্টোপাধ্যায়, রোহিণী (শিলিগুড়ি): চারিদিকে পাহাড়। মাঝখানে বিরাট রোহিণী লেক। শিলিগুড়ি থেকে সবচেয়ে কাছের একটি ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন এই রোহিণী। ফুলে ঢাকা গাছ আর আঁকা-বাকা পাহা঩ড়ি রাস্তা। অনন্য সৌন্দর্য্যে ভরা এই পাহাড়ি গ্রামে পা রাখলেই মন ভরে ওঠে যে কারও। পাহাড়ে এসে রোহিণী লেকে যাননি এমন সংখ্যা হাতেগোনা। কার্শিয়াংয়ের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে রোহিণী মন্দিরও পর্যটকদের ফেভারিট স্পট। কিন্তু বাধ সাধছে ভাঙা রাস্তা। বড়দিন এবং পিকনিকের মরশুমেও লেক যাওয়ার রাস্তা সংস্কার হয়নি। ফলে প্রাণহাতে নিয়ে লেক দর্শনে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। অপার সৌন্দর্যে ভরা এমন জায়গা যাওয়ার রাস্তা কেনইবা দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করে ফেলে রাখা হয়েছে, রোহিণীতে এসে সেই প্রশ্ন তুলছেন পর্যটকরা। 


    এ ব্যাপারে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সিপিআরও শক্তিপ্রসাদ শর্মা জানান, ওই রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে। রাজ্য সরকার থেকে বরাদ্দ অনুমোদন হলেই লেকগামী রাস্তা সংস্কার হয়ে যাবে। 


    রোহিণী টোলগেট পেরিয়ে কার্শিয়াংগামী রাস্তা ধরে কিছু এগনোর পর বাঁ দিক দিয়ে সোজা উঠে গেলে এই রোহিণী লেক। শিলিগুড়ি সমতল তো বটেই, কলকাতা বা অন্য জেলা থেকে ভ্রমণপিপাসুরা এসে একবার হলেও ঢুঁ দেন এই লেকে। কিন্তু লেক যাওয়ার রাস্তার ভয়ঙ্কর অবস্থা কার্যত ডরায় অনেককে। কিন্তু তা নিয়ে টু শব্দটিও নেই টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের মুখে। 


    দিন কয়েক আগে রোহিণী লেক থেকে ঘুরে এসে খারাপ অভিজ্ঞতা শিবমন্দিরের বাসিন্দা মিনু দাসের। তাঁর কথায়, পাহাড় ভালোবাসি বলে দিন কয়েক আগেই সেখানে ঘুরতে যাই। লেকে টিকিট কেটে ঢুকতে হচ্ছে। অথচ রাস্তা এত খারাপ! অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার। কলেজপাড়ার বাসিন্দা সুপর্ণা সোমেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, বড়দিন মানেই পরিবার নিয়ে পাহাড় ভ্রমণ। রকমারি ফুল, কত পাখি মুখরিত রোহিণী লেক বরাবরই আমাদের খুব প্রিয় জায়গা। কিন্তু রোহিণী মেইন থেকে লেক যাওয়ার রাস্তার দশা বরই ভয়ঙ্কর। তাই ইচ্ছে থাকলেও সেখানে অনেকের পক্ষেই যাওয়া সম্ভব নয়। রাস্তাটি মেরামত করলে পর্যটকদের ভোগান্তি মিটবে। 


    রোহিণী মন্দিরের রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে বড় বড় পাথর। ৫০ মিটার সেই পাথুরে খাঁড়া রাস্তা পেরিয়ে উঠতেই শীতেও কালঘাম ছোটার দশা অনেকের। যদিও জিটিএ’র ট্যুরিজম বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লেকের পাশে রোপওয়ের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। একই প্রজেক্টের মধ্যে লেকগামী রাস্তাও নতুন রূপে সংস্কার করে দেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)