সংবাদদাতা, শীতলকুচি: দীর্ঘদিনেও সেতুর দাবি পূরণ হয়নি। বেহাল সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। ঘটনাটি শীতলকুচি ব্লকের ছোট শালবাড়ি পঞ্চায়েতের ফক্করেরহাট সংলগ্ন খুটামারা নদীর বারনির ঘাটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। নদী পারাপারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকমাসের মধ্যেই সেটি বেহাল হয়ে যায়। বর্ষায় জলের স্রোতে সাঁকো ভেসেছে বহুবার। এর আগে কয়েকবার বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন এসে মাপজোখ করেছেন। কিন্তু এরপরও সেতু নির্মাণ হয়নি। স্থানীয় তৈয়ব আলি, অমিয় বর্মন বলেন, সাঁকোটির অবস্থা খুবই খারাপ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সকলে এই সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করে। ফলে সাঁকো বেশিদিন টেকে না। দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে ভোগান্তি কমবে। ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত উপ প্রধান উত্তমকুমার বর্মন বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সাঁকোটি মেরামত করে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। সেতু তৈরির দাবি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে।
এই সাঁকো দিয়ে ছোট শালবাড়ি, ছোট গদাইখোঁড়া, নওতাবাস, আক্রারহাট সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। প্রতি বছরই বর্ষায় সাঁকো ভেঙে গেলে ঘুরপথে যাতায়াত ছাড়া উপায় থাকে না। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন বলেন, বারনির ঘাট সহ একাধিক এলাকায় সেতুর দাবি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা রাখছি, দ্রুত সেখানে সেতু নির্মাণ শুরু হবে।