মাঝরাতে বহরমপুরে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন ...
আজকাল | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতী হানায় বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন বহরমপুর টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পাপাই ঘোষ। শনিবার মাঝরাতে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি করে বহরমপুর শহরের সৈদাবাদ এলাকায় বাড়ি ফেরার সময় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে দু'রাউন্ড গুলি চালায়। যুবনেতা প্রাণে বেঁচে গেলেও, গুলির আঘাতে চৌচির হয়ে যায় তাঁর গাড়ির কাঁচ। বহরমপুর শহরের কাশিমবাজার রিংরোড সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। যদিও সেই সময় এলাকায় তারা কাউকে খুঁজে পায়নি। তদন্তের জন্য পুলিশ তৃণমূল নেতার গাড়িটি 'সিজ' করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গাড়ির মধ্যে বুলেট বিঁধে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বুলেটের ফাঁকা খোল। প্রসঙ্গত, ঐ তৃণমূল নেতার স্ত্রী সুষমা ঘোষ বহরমপুর লাগোয়া মনিন্দ্রনগর পঞ্চায়েতের প্রধান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,তৃণমূল নেতার একাধিক ব্যবসা রয়েছে এবং তিনি বহরমপুর পুরসভা সহ বিভিন্ন এলাকায় কনট্রাক্টরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যদিও ঐ তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন রাজনৈতিক কারণেই তাঁর উপর এই হামলা। তবে কোন রাজনৈতিক দল তাঁর উপর এই হামলা চালিয়েছে সে সম্পর্কে নিজের কোনও ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন পাপাই ঘোষ।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতা বলেন, 'পার্কের মাঠ এলাকায় আমার একটি বাড়ি রয়েছে। শনিবার রাত প্রায় বারোটা নাগাদ সেখান থেকে রিং রোড হয়ে সৈদাবাদ এলাকায় বাড়িতে ফিরছিলাম। সেই সময় হঠাৎই একটি গাড়ি শব্দ শুনতে পাই। তখনই একটা গুলি চলে। এরপরই আমি ড্রাইভারকে জোরে গাড়ি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিই। তখন আবার আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে কোনও গুলি আমার লাগেনি, বুলেটের আঘাতে গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে।' ঘটনায় আতঙ্কিত নেতার বক্তব্য, 'আমার সঙ্গে সবসময় একজন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। গতকালকে রাতে আমি তাকে একটি জায়গায় নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় আমার সঙ্গে গাড়িতে দু'জন ছিলেন । প্রতিদিনই আমি বাইক নিয়ে নিজের এলাকায় ঘুরে বেড়াই। কিন্তু এর আগে আমার সঙ্গে কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। কী কারনে এই হামলা বুঝতে পারছি না।' তাঁর শত্রু রয়েছে, সেকথা নিজেই জানিয়েছেন যদিও। বহরমপুর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তারা গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।