অনুপ কুমার দাস: সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস করতে করতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা কিশোরীর। নিহত তরুণীর নাম রাখি বর্মন, বয়স ১৬। বাড়ি নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার অন্তর্গত ভরতপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ঠাকুমার কাছেই থাকত কিশোরী। বাবা, মা, দাদা কাজের সূত্রে জয়পুরে থাকে।
জানা গিয়েছে, রিলস করতে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে বাড়িতেই আত্মহত্যা করে। পরিবার সূত্রে খবর, কিশোরী রোজই রিলস বানাতো। প্রত্যেক দিনের মত সে আজও একই কাজ করছিল। আচমকাই তাঁর ঠাকুমা ডাকতে এলে, দেখে সে গলায় দড়ি অবস্থায় ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোক কালিগঞ্জ থানা খবর দিলে দেহ উদ্ধার করে পুলিস। ইতোমধ্যেই দেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, এই রিলস তৈরির উন্মাদনা বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দেখা যায়। অনেক সময় সেই রিলস ভাইরাল করার জন্য যেকোনও পথ অতিক্রম করে থাকে অনেকে। সেক্ষেত্রে ভয়ংকর বিপত্তির মধ্যেও পড়তে হয়। অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্তও ঘটে। তবে এই ঘটনায় তরুণী কি কোনও পাবিলিসিটি স্টান্ট করতে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগে, না কি সে আত্মহত্যাই করেছে। এই প্রশ্নই এখন সামনে আসছে। তদন্তেই জানা যাবে, কিশোরীর মৃত্যুর আসল রহস্য।
উল্লেখ্য, চলতি বছরই এই রিলস বানাতে গিয়ে ঘটে ভয়ংকর বিপত্তি। মালদা জেলার কালিয়াচকে গুলি কাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম সাফি আলী। গুলিতে মৃত অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সামিউল ইসলামের বন্ধু সাফি। তদন্তকারী পুলিস কর্তা জানান সেভেন এম এম পিস্তল নিয়ে মৃত ছাত্র সামিউল ও তার বন্ধু সাফি রিল বানাচ্ছিল। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। তদন্তকারী পুলিস কর্তা জানান বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় বাড়িতে সামিউল ও তার বন্ধু সাফি আলী নিয়ে বাড়িতে ছিল। বাড়ির ছাদে রিল বানাচ্ছিল। তারই প্রপস হিসাবে তারা কাজে লাগিয়েছিল সেভেন এমএম পিস্তল।
খেলতে খেলতে হঠাৎই বিকটক শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এরপরই প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে সামিউলের ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। দেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। তড়িঘড়ি সামিউলকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় সিলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউলকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭