• জিনাতকে দেখতে মেলার মতো ভিড় রানিবাঁধের গোঁসাইডি গ্রামে,পসরা নিয়ে হাজির দোকানিরা, বিক্রিও হল দেদার
    বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • বাপ্পা রায়, মানবাজার: শনিবার সকালে বাঘিনীর আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষ ভিড় করেছিল বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের গোঁসাইডি গ্রামে। শুক্রবার রাতে পুরুলিয়ার বোরো থানার ডাঙ্গরডি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ে বাঘিনী জিনাত। শনিবার ভোর নাগাদ মানবাজার থানা এলাকা হয়ে ঢোকে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের গোঁসাইডি গ্রামের জঙ্গলে। শনিবার থেকে সেখানে ভিড় জমে যায় দুই জেলার বাসিন্দাদের। রবিবার বাঘিনী ধরা পড়ার পরও ছিল উপচে পড়া ভিড়। উৎসাহী জনতার জন্য‌ গোঁসাইডি গ্রা঩মে বসে প্রচুর অস্থায়ী দোকান। কার্যত মেলার চেহারা নেয় এলাকাটি। বিক্রিবাটাও হয় প্রচুর।


    মানুষের ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিস কর্মীদের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মানবাজার ও রানিবাঁধ থানার পুলিস। ভিড় দেখেই ছোলা-বাদাম থেকে শুরু করে মুড়ির প্যাকেট নিয়ে গোঁসাইটি গ্রামে রাস্তারচ ধারে বসে পড়ে প্রচুর বিক্রেতা। স্থানীয় মানবাজার থানার ধানারা গ্রাম থেকে এসে দোকান সাজিয়ে বসেছিলেন সনাতন মোদক। তিনি বলেন, বিভিন্ন মেলায় দোকান নিয়ে বসি। বাঘ দেখতে এসে দেখি এখানে মেলার মতো ভিড়। তাই বাড়িতে গিয়ে দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে আসি। বিক্রিবাটাও হচ্ছে ভালো। স্থানীয় ভুঁড়াশোল গ্রামের বিধান গড়াই বলেন, ভিড় দেখে আজ সকাল থেকেই দোকান নিয়ে বসি। এদিন বাঘ ধরা পড়বে খবর ছড়িয়ে যেতেই প্রচুর মানুষ ভিড় করে। বিক্রিও হয় ভালো। 


    প্রত্যন্ত এলাকা গোসাইডি। মুকুটমণিপুর জলাধারের পাশেই এই গ্রাম। মুকুটমণিপুর থেকে জলাধার পেরিয়ে আসা যায় গ্রামে। গ্রামে দোকানপাট নেই বললেই চলে। বনদপ্তরের বাঘিনীকে ধরার তৎপরতা দেখে বাড়িতে ফিরতে পারছিল না উৎসুক জনতার অনেকেই। এই বুঝি বাঘ ধরা পড়ল, সেই ভেবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়। না খেয়েই দিন কাটায় অনেকে। কেউ কেউ দোকান থেকে মুড়ি কিনে খায়। অনেক পুলিস কর্মী এমনকী বনদপ্তরের কর্মীরাও খাবার কিনে খান দোকান থেকে। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধের একটি গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য সিং জানান, বাঘ ধরা হবে শুনে সকালেই এখানে এসেছি। এসে দেখি প্রচুর ভিড়, কিছু দোকানপাট বসেছিল। সেখান থেকে মুড়ি কিনে খাই। মানবাজারের সহদেব মাহাত বলেন, দু’ দিন ধরেই রোজ আসছি। মেলার মতো ভিড়। রবিবার বিকেলে বাঘ ধরা পড়ায় খুশি অনেকেই। তবে দোকানদারদের মুখ ব্যাজার— মেলাটা আর ক’দিন চললে আরও দু’ পয়সা রোজগার হতো।
  • Link to this news (বর্তমান)