ঘটনাটি ঠিক কী? এখন কোন বিধি নিষেধ নেই। সরকারি হাসপাতালে অধ্যাপক চিকিত্সকরাও হাসপাতালের বাইরেও রোগী দেখেন। প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করেন। কেউ কেউ তো সরকারি কোয়ার্টারেই চেম্বার খুলে বসেছেন। বিধানসভায় স্বাস্থ্যসাথীর টাকার অপব্য়বহারের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'ডাবল চেক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর টাকার অপব্যবহার ধরা পড়েছে'। সঙ্গে চিকিত্সকদের একাংশকে কড়া বার্তা, 'আপনি কাজও করবে না, টাকাও ঘুরিয়ে নেবেন। ডিপার্টমেন্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে'। এরপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে একগুচ্ছ নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে ফেলে রাজ্য সরকার।
বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিত্সা করলে সরকারি চিকিত্সকদের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য ভবন। নির্দেশিকায় উল্লেখ, 'নন-প্র্যাকটিসিং অ্য়ালাউন্স নিচ্ছেন না'। এই মর্মে হলফনামা দিতে হবে সরকারি চিকিত্সকদের। কোনও বিচ্যুতি হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে'। সরকারি চিকিত্সকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে রাশ টানতে চাইছে সরকার? জল্পনা চলছিল।