অয়ন ঘোষাল: আগামিকাল ৯ জানুয়ারি বিকেল ৫ টায় মিলেনিয়াম পার্কের মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলা সূচনা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সাগরদ্বীপে মেলা হলেও, গঙ্গাসাগরের ছোট সংস্করণ দেখা যায় কলকাতার বুকে ৷ অর্থাৎ, গঙ্গাসাগর যাওয়ার ট্রানজিট শিবির বাবুঘাটে যেন এক টুকরো ছোট্ট গঙ্গাসাগর মেলা। সেখানেও প্রতি বছর ৭ দিনে মোট প্রায় ১ লাখ পুণ্যার্থী এবং সাধু সন্তদের ভিড় হয় ৷ বাবুঘাট-সহ কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে জমায়েত সাধুসন্ত এবং পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য সরকার। বাবুঘাট চত্বরে ট্রানজিট শিবির আরও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা।
পুণ্যার্থীদের সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে জঞ্জাল সাফাই টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে পুরনিগম । শনিবার কলকাতা পুরনিগমে গঙ্গাসাগরের ট্রানজিট শিবির নিয়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ এবার এই শিবিরের দায়িত্বে আছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার।
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে বাবুঘাট থেকে ২,২৫০টি সরকারি বাস, ৫০০ বেসরকারি বাস, মিলেনিয়াম এবং লট ৮ সহ কচুবেড়িয়া ঘাট থেকে ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ ও ২১টি জেটি ব্যবহার হবে। এগুলিতে জিপিএস ট্র্যাকিং হবে।
পূর্ব রেল যাতে হাওড়া-শিয়ালদা-নামখানায় অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হয় সেই অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুয়ায়ী সাগর মেলার সময়কালে ৭১ টি অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন শিয়ালদহ এবং কলকাতা স্টেশন থেকে চালাবে পূর্ব রেল। গঙ্গাসাগর মেলায় নজরদারির জন্য মেগা কন্ট্রোলরুম করা হয়েছে।
বাবুঘাট থেকে বাসের ক্ষেত্রে সিঙ্গল টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থায় এক টিকিটে তিনটি অংশের কাউন্টার টিকিটে বাবুঘাট থেকে কাকদ্বীপ। কাকদ্বীপ লট ৮ থেকে লঞ্চ বা ভেসেলে মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে কচুবেড়িয়া এবং সেখান থেকে রুদ্রনগর বেনুবন পেরিয়ে সাগর দ্বীপ পর্যন্ত যাওয়া এবং আসা যাবে।
সাগরবন্ধু ভলান্টিয়ার থাকবেন। যারা ভিন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের গাইড করবেন, সাহায্য করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি সকাল ৬ টা ৫৮ থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত মকর বা পুণ্যস্নান নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়েছে।