চলতি মাস, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই আবারও সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া শুরু করবে রাজ্য। বুধবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ থেকে এ কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালন করে রাজ্য। এ দিন স্টুডেন্টস উইকের সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও অবধি আমাদের ১ কোটি ২৭ লক্ষ সবুজসাথী রয়েছে। এ বারও যারা সাইকেল পাবে, তাদের সাইকেলও রেডি।’ তিনি জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারের সভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সাইকেল বিতরণ হবে। জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই সাইকেল দিতে শুরু করবে স্কুলগুলো।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম জনমুখী এই প্রকল্প। পুরো কাজটি পরিচালনা করে রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। এই প্রকল্প চালু হয় ২০১৫ সালে। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামে একটি প্রশাসনিক সভা থেকেই এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সকল ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করা।

এ দিন বাংলার উৎকর্ষতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে পড়তে যান। তবে এ রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও বিশ্বের দরবারে কোনও অংশে কম নয়।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সেরার সেরা।’ তাঁর সরকারের আমলে নতুন ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, নতুন ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। ৫৩টি কলেজ, ৭ হাজারের বেশি নতুন স্কুল হয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কারিগরি শিক্ষা থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সব কিছু নিয়েই কাজ হচ্ছে।

মমতা জানান, কারিগরি শিক্ষার জন্য ৫০০টি আইটিআই-পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির কাছে ওপেন অফার রয়েছে উৎকর্ষ বাংলা থেকে লোক নেওয়ার। ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষ কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। উৎকর্ষ বাংলায় ১০ লক্ষ চাকরি হয়েছে। আরও কয়েক লক্ষ প্রসেসে আছে।’

একই সঙ্গে ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী, কন্যাশ্রীর পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, এখনও অবধি ৮৯ লক্ষ কন্যাশ্রী রাজ্যে আছে। তিনি চান, এই সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাক।