• পুলিসের আপত্তি উড়িয়েই ইস্যু হয়েছিল পাসপোর্ট: লালবাজার
    বর্তমান | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আবেদকারীর নথিতে দেওয়া ঠিকানা যাচাইয়ে গিয়ে তার অস্তিত্বই খুঁজে পায়নি চিৎপুর থানা। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে পাসপোর্ট না দেওয়ার জন্য আরপিওর কাছে সুপারিশ করেন ভেরিফিকেশন অফিসার। তারপরেও বেব্রোর্ন রোডে আরপিও অফিস থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর নামে বেরিয়ে গিয়েছিল আসল পাসপোর্ট। অবাক লালবাজার। আরপিওর যে অফিসার এটি ইস্যু করেন তাঁকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে এভাবে পুলিসের ক্লিয়ারেন্স না-থাকা সত্ত্বেও একাধিক পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছিল। পাশাপাশি তাদের কাছে যে সমস্ত প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল তার উত্তর শুক্রবার গোয়েন্দাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।


    পাসপোর্টের জন্য জমা পড়া নথি থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, একই আধার নম্বর ব্যবহার হয়েছে একাধিক পাসপোর্টের আবেদনে। একটি আধার নম্বর দিয়ে ১০-১৫টি পর্যন্ত আবেদন করা হতো। এরকম একাধিক আধার অভিযুক্ত জোগাড় করেছিল। আনন্দপুর অফিসের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ও গ্রান্টিং অফিসারকে সে ম্যানেজ করে ফেলায় নথি স্ক্যান করাই হতো না। 


    তাই লালবাজারের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ইস্যু হয়ে যাওয়া পাসপোর্টগুলির অফিসার কারা? তাঁদের নামের তালিকা শুক্রবার পাঠিয়েছে আরপিও। তাতে একাধিক কর্মীর নাম রয়েছে। একইসঙ্গে আবেদনের ফি মেটাতে কতগুলি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হয়েছে, তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে। বাজেয়াপ্ত পাসপোর্টগুলি আমতা বা বসিরহাট পোস্ট অফিস থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু এগুলি আসলে কোন পোস্ট অফিসের ঠিকানায় ডেসপ্যাচ করেছিল আরপিও, তার তথ্য চাওয়া হয়। স্থায়ী ঠিকানাগুলি ছিল আমতা এবং পঞ্চসায়র ডাকঘর এলাকার। তাই সেগুলি চলে যায় সেখানে। আর ‘স্থায়ী’ বলে দেখানো ঠিকানাগুলি ছিল ‘ভুয়ো’।
  • Link to this news (বর্তমান)