সুই নদীর তীরে পুণ্যার্থীর ঢল, ইন্দ্রানের গঙ্গামেলার আকর্ষণ আলুর দম, মুড়ি
বর্তমান | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ইটাহার: মকর সংক্রান্তিতে ইন্দ্রানের গঙ্গামেলা মিলিয়ে দিল বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে। ঐতিহ্য বজায় রেখে ১৫০ বছর পুরনো শ্মশান গঙ্গা মেলা পরিচালনা করে আসছেন হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের মানুষরা। পুণ্যস্নান করতে ভক্তের ঢল সুই নদীর তীরে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ইটাহারের পুলিস প্রশাসন। মেলা কমিটি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালায়।
মকর সংক্রান্তি তিথিতে ইটাহারের সুরুন ১ অঞ্চলের ইন্দ্রান গ্রামে সুই নদীর তীরে গঙ্গাপুজো উপলক্ষ্যে এই মেলা বসে। শ্মশান কালীমন্দির চত্বরে হওয়ায় এই মেলা শ্মশান গঙ্গামেলা নামে পরিচিত। এই সময় গঙ্গা দেবীর পুজোর পাশাপাশি শ্মশান কালীপুজো হয়। তিন দিনের মেলার পাশাপাশি বাউল গানের আসর বসে। সম্প্রীতির বার্তা দিতে বছরের পর বছর থেকে ইন্দ্রান গ্রামের হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষ মিলিত হয়ে এই মেলা পরিচালনা করে। মেলার উদ্যোক্তা প্রহ্লাদ সাহা জানান, গত ৭৬ বছর থেকে এই মেলা হয়ে আসছে। কমিটির সদস্য আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, সম্প্রীতির বার্তা দিতে আমরা সবাই শতাব্দী প্রাচীন এই মেলা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিচালনা করি।
সুই নদীতে পুণ্যস্নান ও মেলায় উত্তর দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বিহার থেকেও বহু পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। মেলায় বসেছে রকমারি দোকান। তবে এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ আলুর দম ও মুড়ি। ভক্তরা পুণ্যস্নান সেরে নদীর ধারে বসে আলুর দম ও মুড়ি খেয়ে বাড়ি ফেরেন। ইটাহারের পাড়াহরিপুর ও চকলা এলাকায় সুই ও মহানন্দা নদীর তীরে মকরসংক্রান্তির মেলা বসেছে।