সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হ্যামিল্টনগঞ্জের ভার্নাবাড়ি বিটের জঙ্গলে সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে দাঁতালের হামলায় মাকনা হাতি জখম! বৃহস্পতিবার সাতসকালে কালচিনির দলসিংপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালবাহাদুর বস্তিতে ঢুকে পড়া একটি মাকনা হাতির শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন দেখে এই ধারণাই করা হচ্ছে। বনদপ্তরও সেই ইঙ্গিত দিয়েছে।
এদিন জখম হাতিটি লোকালয়ে চলে আসায় গোপালবাহাদুর বস্তির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপরেই হাতিটির শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন দেখে বাসিন্দারা বনদপ্তরে খবর দেন। ক্ষতস্থান থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। খবর পেয়ে বক্সার এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের বনকর্মীরা আসেন। কিন্তু বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই মাকনাটি জঙ্গলে ঢুকে যায়। তবে লোকালয়ে ঢুকলেও মাকনাটি কারও ক্ষতি করেনি। তারপরেই জখম হাতিটিকে খুঁজে বের করতে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েও বনকর্মীরা খোঁজ পাননি। কিন্তু হাতিটিকে খুঁজে পেতে বনদপ্তরের অভিযান চলছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা হরিকৃষ্ণন পিজে বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে কোনও পুরুষ দাঁতালের আক্রমণে মাকনাটি জখম হয়ে থাকতে পারে। জখম হাতিটিকে আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে। কারণ, চিকিৎসা না হলে হাতিটির ক্ষতস্থান থেকে সংক্রমণও ছড়াতে পারে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, অনেক সময় দলে মাকনাকে ভিড়তে দিতে চায় না দাঁতাল। এমনও হতে পারে গোপালবাহাদুর বস্তিতে ঢুকে পড়া মাকনাটি সেই কারণেও জখম হয়ে থাকতে পারে। তবে বনদপ্তর জানিয়েছে, মাকনাটির হদিশ পাওয়ার পরেই তার জখম হওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।