নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: প্রতিবেশি বাংলাদেশে রাজনৈতিক বদল ঘটেছে। চলছে অশান্তিও। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষা রাখাই চ্যালেঞ্জ বিএসএফের। জাতীয় নিরাপত্তা, অনুপ্রবেশ আটকানো এবং পাচার রুখতে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক রয়েছেন জওয়ানরা। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত সুরক্ষাকে সামনে রেখে কলকাতায় বিএসএফ ইস্টার্ন কমান্ডের স্পেশাল ডিজির দপ্তরে অনুষ্ঠিত হল বিএসএডের ‘ফিল্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থাকা ৫ রাজ্যের আইজি সহ সমস্ত পদস্থ বিএসএফ অফিসাররা হাজির ছিলেন। বৈঠকে সীমান্তের নিরাপত্তার উপর আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরা এই পাঁচ রাজ্যে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। জরুরি এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, অসমের গুয়াহাটি, কাছার, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের সমস্ত আইজি এবং পদস্থ অফিসারদের ডাকা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতার লর্ড সিনহা রোডে বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের শুরুতেই পূর্বাঞ্চলের এডিজি সীমান্তে অপরাধ ও অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে সীমান্তের গ্রামবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। এই সমস্ত অপরাধ রুখতে এখন গ্রামবাসীরা বিএসএফকে সহায়তা করছেন। যা খুবই ভালো দিক। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডও দক্ষভাবে পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করছে বলে আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ সীমান্ত সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্ত এজেন্সির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং আগের চেয়ে আরও বেশি করে সমন্বয় তৈরি করার কথা আলোচিত হয়েছে। যাতে যে কোনও মুহূর্তে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।
তৃতীয়ত, এই ৫টি রাজ্যের সম্পূর্ণ সীমান্তের কী চিত্র, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কোথায় কী অবস্থা? সেখানে অপারেশন কীভাবে হয়? কোথায় কী কী উন্নয়ন করতে হবে, কী কী নতুন ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কোন কোন প্রযুক্তিগুলি আসছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।