৭ জুনিয়র চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার রাত ১১টা থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীর কার্যলয়ের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। শনিবার অধ্যক্ষের অফিসের বাইরেই রাত কাটালেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে আন্দোলন চলবে বলেও জানানো হয়। উল্লেখ্য, শনিবার এই ৭ জনের সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব অধ্যক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সেই দিনে প্রথমে কর্তব্যরত ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে ৬ পিজিটি পড়ুয়ার কাছে সাসপেনশনের চিঠি পৌঁছয়।
শনিবার সকালে প্রসূতি বিভাগের আরও এক পিজিটি-র কাছে যায় সাসপেনশন লেটার। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, ৮ জানুয়ারি রাতে সিজ়ারের সময়ে স্বেতা ওটি-তে ছিলেন না!
জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী শনিবার জানান, জুনিয়র চিকিৎসকরা অধ্যক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। অধ্যক্ষ তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়েছেন।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা উদ্বেগে রয়েছেন। বিষয়টি অধ্যক্ষ স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছেন। এ দিকে আংশিক কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, মানবিক কারণেই তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে আন্দোলন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তবে অবিলম্বে সাসপেনশন প্রত্যাহার করা না হলে পূর্ণ কর্মবিরতির পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। যদিও অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দী এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
যদিও প্রশাসনের একটি সূত্র দাবি করছে, এই ঘটনায় কোনও চাপের কাছে ঝুঁকতে নারাজ স্বাস্থ্য ভবন। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল এবং সিআইডির রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।