• আর জি কর-কাণ্ডে সাজা ঘোষণা আজ
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঘটনার পর ১৬৩ দিন অতিক্রান্ত। আজ, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। দোষীর বক্তব্যও এদিন শোনা হবে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদহের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই মামলায় বিচারক কী সাজা দেন দোষীকে, সেদিকেই আপাতত নজর থাকবে সবার। কলকাতা পুলিসের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গত শনিবারই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। তখনই এজলাসে সঞ্জয় বলে ওঠে, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’ বিচারক তাকে জানিয়ে দেন, সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তার বিপক্ষে। সে দোষী। আমৃত্যু কারাদণ্ড বা ২৫ বছর জেল বা সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে তার। প্রসঙ্গত, বারাসত জেলায় বিশেষ আদালতে বিচারক থাকাকালীন অনির্বাণ দাস মাদক সংক্রান্ত মামলায় এক অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। 


    আর জি কর হাসপাতালে জুনিয়র মহিলা চিকিত্সককে খুন-ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে ৯ আগস্ট। উত্তাল হয় বাংলা সহ গোটা দেশ। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার কলকাতা পুলিসের কাছ থেকে সিবিআইয়ের কাছে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুন-ধর্ষণের অভিযোগে যে সঞ্জয় রায়কে কলকাতা পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল, সিবিআই তাকেই দোষী বলে চিহ্নিত করে চার্জশিট দেয়। ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক মহল যে আন্দোলন শুরু করেছিল, এখনও তা চলছে টিমটিম করে। আজও শিয়ালদহ আদালতের সামনে জমায়েতের ডাক দিয়েছে অভয়া মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের দাবি, শুধু সঞ্জয় নয়, আরও কেউ এই নারকীয় ঘটনায় যুক্ত রয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চাই। শহরের একটি সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে উলুবেড়িয়ার শঙ্কর মণ্ডল বলছিলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, ফাঁসিই তার একমাত্র শাস্তি হতে পারে।’ ভাঙড়ের নুরুল ইসলামের বক্তব্য, ‘শত চেষ্টা করেও অভয়াকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে একটা উদাহরণ তৈরি করা দরকার।’ বসিরহাটের কুন্তলা সাহা বলছিলেন, ‘আদালতের উপর আস্থা রয়েছে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেই তো সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া দরকার ওকে।’
  • Link to this news (বর্তমান)