জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৬২ দিনের অপেক্ষা। আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case Verdict) দোষী সঞ্জয় রাইকে (Sanjoy Roy) ফাঁসি নয়, যাবজ্জীবনের সাজা দিলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস (Justice Anirban Das)। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নির্যাতিতার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আন্দোলনের ঝড় ওঠে গোটা দেশে। বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে গোটা দেশ। আজ সেই মামলার রায়ের অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিল সকলেই।
এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিল অনেকেই। তবে আজ সেই মামলায় দোষী হিসেবে সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল, সঙ্গে ৫০ হাজার জরিমানা। যাঁর হাতে আরজি কর মামলার রায় সেখা হল সোমবার, তিনি হলেন শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক অনির্বাণ দাস। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন মামলায় রায় দিয়েছেন অনির্বাণ দাস।
জানা গিয়েছে বিচারক অনির্বাণ দাস ১৯৯৫ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে LLB পাশ করেছিলেন। বিচার বিভাগের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২৫ বছরের কর্মজীবন শুরু মুর্শিদাবাদে, এরপর কৃষ্ণনগরে সিভিল জজ, তারপর বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা বিচারকের মতো দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিনি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ‘সহকারী আইনি উপদেষ্টা’ হিসাবেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসাবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রায় দুই বছর আগে শিয়ালদহ আদালতে আসেন জাস্টিস দাস। বর্তমানে তিনি শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক হিসেবে কর্মরত।
সোমবার ফাঁসির সাজা না দিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা দিলেও এর আগে NDPS মাদক সংক্রান্ত মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস । আইনজীবী মহলের খবর, ইতোমধ্যেই একাধিক পকসো মামলায় দোষীদের ২০ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন তিনি। আবার ডাকাতি, এটিএম ভাঙার মামলায় তাঁর এজলাস থেকে অভিযুক্তেরা ছাড়াও পেয়েছেন বলে আইনজীবীমহলের খবর। জানা যায় যে কর্মজীবনের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সম্পূর্ণ আলাদা। আদালতে তাঁর পরিচিতি বরাবর ‘বিচক্ষণ’ মানুষ হিসাবে। গত ১১ নভেম্বর যখন আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় শিয়ালদা আদালতে তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ইন ক্যামেরা’ হবে। গত শনিবার সেই মামলার রায়ে সঞ্জয় রায়কে দোষী বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সোমবার এল রায়।