বিচারক মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ঠিক করেছেন,মত একদা আরজি কর মামলায় লড়া আইনজীবী বিকাশের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
একটা সময়ে আরজি কর নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন। সেই বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, 'মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে বিচারক ঠিকই করেছেন বলে আমার মনে হয়।' আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়ের সাজা নিয়ে টিভি৯ বাংলাকে বিকাশবাবু বলেন, 'স্বাভাবিক রায়। বিচারপতি যাবজ্জীবন দিয়েছেন। এটা যথেষ্ঠ কঠিণ সাজা। মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ঠিকই করেছেন বলে আমার মনে হয়। প্রথমত, মৃত্যুদণ্ড থাকাই উচিৎ নয়। বিচারক সমস্ত তথ্য প্রমাণ ঘেটে এই রায় দিয়েছেন।'
এদিকে বিকাশবাবু ফাঁসির বিপক্ষে বললেও এই মামলায় ফাঁসিক দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা। উল্লেখ্য, গতকাল শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত শনিবার আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বললেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়।
এদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি পকসো মামলায় আসামিদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চাইছিলেন অধিকাংশ মানুষ। এই নিয়ে শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাসের পর্যবেক্ষণ, আদালতের দায়িত্ব মানুষের ভাবাবেগকে দূরে সরিয়ে রেখে ন্যায়বিচারের বৃহত্তর স্বার্থকে অক্ষুণ্ণ রেখে চলা। আইনি ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রেখে আদালতকে কাজ করতে হয়। বিচারক বলেছেন, ‘আদালতকে অবশ্যই জনগণের চাপ বা মানবিক আবেদনের কাছে মাথানত করার প্রলোভনকে প্রতিহত করতে হবে। বরং এমন একটা রায়দানের উপরে মনোনিবেশ করতে হবে, যা আইনি ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখে এবং ন্যায়বিচারের বৃহত্তর স্বার্থকে পূরণ করে।’