কোনও জঙ্গি যেন বাসা বাঁধতে না পারে, সীমান্ত সমস্যায় সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বর্তমান | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: প্রথমে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মতপার্থক্য। তারপর একই এলাকায় দুই দেশের কৃষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা। মালদহের সুখদেবপুর বর্ডার আউট পোস্টের এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা থেকে শুরু করে নয়াদিল্লি। এই আবহে মালদহ জেলা সফরে এসে রাজ্য তথা দেশের সুরক্ষায় পুলিস প্রশাসনকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মালদহের ডিএসএ গ্রাউন্ডে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মমতা বলেন, ‘দেখবেন, কোনও জঙ্গি বা সমাজবিরোধী যেন হোটেল বা বাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুঘুর বাসা বাঁধতে না-পারে। ওটা আমাদের আটকাতে হবে। এই সমস্যা আটকাতে পারলেই দেশ ও সমাজের মঙ্গল হবে।’
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাস থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গে পুলিসের সক্রিয়তার জেরে একাধিক জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আত্মীয়েরর বাড়িতে তো কোথাও হোটেলে, আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ভাড়া নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল জঙ্গিরা। কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে এবিটি জঙ্গি সাজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম শেখকে গ্রেপ্তার করে বেঙ্গল এসটিএফ। আবার মাসখানেক আগে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্দেহভাজন জঙ্গি জাভেদ মুন্সি গ্রেপ্তার হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। সেখানে হাসপাতাল মোড়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল আস্তানা গেড়েছিল। এরাজ্যে পুলিস সক্রিয় বলেই এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছেন মমতা। তা সত্ত্বেও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এদিন কথা বলতে গিয়ে পুলিসকে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুর্শিদাবাদের পর মালদহ থেকেও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সুরক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা যায় মমতাকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওপার বাংলায় একটু সমস্যা হচ্ছে। বিএসএফ এর সঙ্গে যদি ওদের (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি) বচসা হয় তাহলে আপনারা গ্রামের লোকেরা ওখানে যাবেন না। আমি পুলিসকে বলব মাইকিং করে আমাদের লোককে ফিরিয়ে আনবেন।’ একইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে এদেশের বন্ধুত্ব অক্ষত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রত্যয়ী মমতা। তিনি বলেন, ‘আশা করি ওদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে।’