শুধু ‘এই কারণে সন্দীপকে দোষী বলা ঠিক নয়’, তরুণীর বাবার ২ দাবি ভিত্তিহীন- আদালত
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার বাবার কয়েকটি দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলল শিয়ালদা আদালত। নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে লিখিতভাবে কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করা হয়েছিল। রায়ের কপিতে সেই বিষয়গুলির ব্যাখ্যার সময় শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ নিজে থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলেই তাঁকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে যে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে, সেটিকে সরাসরি ‘ভিত্তিহীন’ বলে চিহ্নিত করেছেন বিচারক।
রায়ের কপিতে বিচারক বলেছেন, ‘অভিযোগকারী একটি ভিত্তিহীন প্রশ্ন করেছেন যে নির্যাতিতার বাবা ও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে প্রিন্সিপাল নিজের চেম্বার থেকে যে বেরিয়ে আসেননি, সেটাই প্রমাণ করছে যে তিনি দোষী। নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন যে কয়েকজন তাঁকে প্রিন্সিপালের ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন।’
শিয়ালদা আদালতের বিচারক আরও বলেছেন, ‘তাঁদের যেন এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। আমার মতে, সেই বিষয়টা প্রিন্সিপালের উপরে কলঙ্ক ফেলতে পারে না যে তিনি দোষী।’
তবে শুধু সেটাই নয়, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে উত্থাপন করা আরও একটি বিষয়কে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। রায়ের কপিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না যে কেন অভিযোগকারীদের আইনজীবী দাবি করেছেন যে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার কাজটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে করা উচিত ছিল।’ সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় যে এটা ভিত্তিহীন প্রশ্ন।’
সেই রেশ ধরেই নির্যাতিতার পরিবারের উত্থাপন করা কয়েকটি বিষয় নিয়েও জবাব দিয়েছেন বিচারক। আর নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর প্রেক্ষিতে বিচারক বলেছেন, ‘যে তথ্যপ্রমাণ এবং যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে অভিযোগকারীর আইনজীবী উপযুক্তভাবে প্রশ্নগুলি উত্থাপন করতে পারেননি। কয়েকটি অলীক এবং কাল্পনিক প্রশ্ন করা হয়েছিল, যা পুরো প্রচেষ্টাকে হালকা করে তুলেছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি দ্বিধাগ্রস্ত যে এই নথিকে সওয়ালের লিখিত নোট হিসেবে বিবেচনা করা যাবে কিনা।'