• মৈপীঠ থেকে দেউলবাড়ি পর্যন্ত ১০০ ট্র্যাপ ক্যামেরা
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: গত দু’সপ্তাহের মধ্যে সাতবার বাঘ হানা দিয়েছে মৈপীঠে। স্বভাবতই আতঙ্ক চেপে বসেছে গ্রামবাসীদের মনে। মূলত, মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর পঞ্চায়েত ও গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েত এলাকায় লোকালয়ের মধ্যে চলে এসেছিল বাঘ। বাঘ বেরিয়েছিল আজমলমারি ১ এবং আজমলমারি ১১ নম্বর জঙ্গল থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগ বাঘের গতিবিধি জানতে ও ক’টি বাঘ লোকালয়ে ঢুকছে, সেই সংখ্যা জানতে নতুন করে মৈপীঠের কিশোরী মোহনপুর থেকে কুলতলির দেউলবাড়ি দেবীপুর পর্যন্ত জঙ্গলে ১০০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রসঙ্গত, মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট এলাকায় বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ার পরেও নতুন করে আবার বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, গ্রাম সংলগ্ন আজমলমারি ১, ২, ৩, ১১, ১২ নম্বর এবং হেরোভাঙা ৯ নম্বর জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। পাশাপাশি, জঙ্গলে সেন্সার সিগন্যাল আলো লাগানো হবে। জাল থেকে পাঁচ ফুট উপরে লাল, নীল, সবুজ রঙের আলো থাকবে। এমন করে বসানো হবে যাতে আলো বাঘের চোখে পড়ে। এতে বাঘ আলো দেখেই ফিরে যাবে। ওই আলো সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত জ্বালানো হবে।


    মৈপীঠে ঘনঘন বাঘের আগমনের কারণে এদিন বিনোদপুরে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা ডাকা হয়েছিল। এতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক নিশা গোস্বামী, অতিরিক্ত আধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী, কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য সহ মৈপীঠ থানার ওসি, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, তিনটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সদস্য, টাইগার টিমের সদস্যদের ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক জাল ছেঁড়া রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। রাস্তায় বিদ্যুতের আলো না থাকা, লো-ভোল্টেজ নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। ঠিক হয়, জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তায় পশুদের মৃতদেহ ফেলা যাবে না। এ নিয়ে তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চালানো হবে। প্রতি মাসে জাল পরীক্ষা করবে বনদপ্তর। এদিন মৃত মৎস্যজীবী বর্ণধর মণ্ডলের স্ত্রী কল্পনা মণ্ডলের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয় বনদপ্তর। পাশাপাশি, তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে সৌরবিদ্যুতের কয়েকটি আলো দেওয়া হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)