• স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত, উদ্ধার ২০ গ্রাম সোনা
    বর্তমান | ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: কোলাঘাটে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে এক বছর বাদে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় ২০গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতের নাম গোরা শা। তার বাড়ি মারিশদা থানা এলাকায়। গত ১৬জানুয়ারি হেঁড়িয়া থেকে অভিযুক্তকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। সাতদিনের পুলিস কাস্টডি শেষে শুক্রবার ধৃতকে তমলুক সিজেএম কোর্টে তোলা হয়। কোলাঘাট থানার ওসি রাজু কুণ্ডু বলেন, সোনার দোকানদার খুনে মোট তিনজন জড়িত ছিল। আগেই দু’জন ধরা পড়েছিল। মূল অভিযুক্ত গোরা শা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হেঁড়িয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি। আগেই ওই খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে ২০গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে।


    ২০২৩সালে ২০নভেম্বর রাতে কোলাঘাট থানার উত্তর জিঞাদায় জাতীয় সড়কে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়াকে খুন করে সোনা ও নগদ টাকা লুট করা হয়। বিয়ে বাড়িতে গয়না সাপ্লাইয়ের অর্ডার পেয়েছিলেন সমীর। সেজন্য ঘটনার দিন কলকাতা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা এনেছিলেন। ওদিন রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিন দুষ্কৃতী তাকে টার্গেট করে। মোটর বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জাতীয় সড়কে তাঁকে ঘিরে ফেলে তিনজন। সোনা ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাইয়ের কাজে বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীরা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়।


    ওই খুনের ঘটনায় পুলিস আগেই শ্যামপুর থানা এলাকা থেকে ঈশা হক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তারপর বাগনান থেকে শেখ রাজু নামে পাঁশকুড়ার এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুনের পর স্থানীয় বাসিন্দারা ‘নাগরিক সুরক্ষা কমিটি’ গড়ে আন্দোলনে নামেন। প্রত্যেক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার এবং এলাকায় সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়। অবশেষে ১৬জানুয়ারি ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গোরা শা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে। তাকে নিয়ে কোলাঘাটের দেউলবাড় ও উত্তর জিঞাদায় ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিস। পাশাপাশি ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে প্রায় ২০গ্রাম ওজনের সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।


    মৃতের স্ত্রী কৃষ্ণা পড়িয়া বলেন, ঘটনার ১৪মাস ধরে দুষ্কৃতী ধরা পড়ল। এতেই পুলিসের গাফিলতি পরিষ্কার। আমি দুষ্কৃতীদের ফাঁসি চাই। দুই নাবালক সন্তান নিয়ে আমি এখন অথৈ জলে। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)