বিজ্ঞপ্তির পরও অনলাইনে সার্টিফিকেট প্রদান চালু করেনি একাধিক পঞ্চায়েত
বর্তমান | ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে অনলাইনে বিভিন্ন শংসাপত্র সরবরাহের জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল দপ্তর। বলা হয়েছিল, অনলাইনে আবেদন জমা পড়লে প্রথমে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের তরফে তা যাচাই করা হবে। আবেদন গৃহীত হলে শংসাপত্র ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। চলতি বছরের শুরুতেই এই পরিষেবা চালু করতে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক পঞ্চায়েত এই পরিষেবা শুরু করলেও বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এই ব্যবস্থা চালু করেনি। তাদের মধ্যে কেউ বলছে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। কীভাবে এই কাজ করতে হবে, জানা নেই কর্মীদের। কারও আবার দাবি, প্রস্তুতি চলছে। শীঘ্রই চালু করা হবে।
পঞ্চায়েত দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, বাসিন্দাদের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট সহ মোট ছ’টি শংসাপত্র অনলাইনে দিতে হবে পঞ্চায়েতগুলিকে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, প্রায় সব জেলাতেই একাধিক পঞ্চায়েত এই পরিষেবা শুরু করেনি। পরিষেবা চালু করতে না পারার জন্য মূলত প্রশিক্ষণ না থাকাকেই দায়ী করছেন প্রধানরা। যেমন, সোনারপুর ব্লকের খেয়াদহ ২ পঞ্চায়েতের প্রধান মিতা নস্কর বলেন, ‘জেলা থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ হয়ে গেলেই পরিষেবা চালু করা হবে।’ বাঁকুড়ার বড়জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোমা মণ্ডলের কথায়, ‘আমাদের পঞ্চায়েতে চালু করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে পরিষেবা।’ হুগলির খানাকুল ১ নং ব্লকের পোল ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন জানান, কীভাবে এই কাজ করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তবে এর মধ্যেই রাজ্যের বহু পঞ্চায়েতে সুষ্ঠুভাবে এই পরিষেবা ইতিমধ্যে চালু করতে পেরেছে। হিসেব বলছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার করে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। দপ্তরের আধিকারিকদের ধারণা, এই পরিষেবা চালু না করার পিছনে প্রধানদের গা-ছাড়া মনোভাব থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে দপ্তর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবে বলেও জানা গিয়েছে।