• আমেরিকায় বসে বেতন পাচ্ছেন শালবনির স্কুলের শিক্ষিকা, শোরগোল মেদিনীপুরে
    এই সময় | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে এক মহিলা শিক্ষকতা করেন। অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনি আমেরিকায় রয়েছেন। অথচ প্রতি মাসে তিনি বেতন পাচ্ছেন। গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত।

    স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও শিক্ষক ৪৫ দিনের বেশি ছুটি নিলে (সর্বাধিক চাইল্ড কেয়ার লিভ ৪৫ দিন) তা ‘বিনা বেতনের ছুটি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নির্দিষ্ট আইনও আছে। এর পরেও একজন শিক্ষিকা প্রায় সাড়ে চার মাস স্কুলে না এসে কী ভাবে বেতন নিচ্ছেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

    যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি শিট বলেন, ‘এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের কিছু বলব না।’ ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ কানে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।’ সেই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার জানুয়ারি মাসের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন ডিআই।

    উল্লেখ্য, খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটির অধীনে থাকা ভীমপুরের দু’টি স্কুল যথাক্রমে ভীমপুর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলে ‘অবৈধ’ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ঘটনাচক্রে ভীমপুরের ওই দু'টি স্কুলে যে সময়ে অবৈধ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ওঠে, অভিযুক্ত অঙ্কের শিক্ষিকার নিয়োগ হয়েছে সেই সময়ই (২০১৭ সাল)।

    দু’টি স্কুলে অবৈধ নিয়োগ কাণ্ডে বছরখানেক আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তৎকালীন ডিআই (জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক) চাপেশ্বর সর্দার। দুর্নীতির সেই মামলা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। চলতি মাসেই প্রাক্তন ডিআই চাপেশ্বর সর্দারের জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

  • Link to this news (এই সময়)