পুলিসের অভিযানে সীমানায় আটক ৭টি বালিবোঝাই ট্রাক্টর, গ্রেপ্তার ২
বর্তমান | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: পুলিসকে ফাঁকি দিতে নতুন ফন্দি এঁটেছে বালি মাফিয়ারা। পশ্চিমবঙ্গের নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে ঝাড়খণ্ডে ঢুকে ফের সীমানা দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করছে। যাতে পুলিস দেখে মনে করে ঝাড়খণ্ড থেকে বালি নিয়ে আসছে। যদিও ফন্দি ধরে ফেলল পুলিস। মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রামপুরহাটের ঝাড়খণ্ড সীমানা সুরিচুঁয়া মোড়ে অভিযানে নামেন এসডিপিও এবং আইসি। তাঁরা সাতটি অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করেন। গ্রেপ্তার হয় দুজন চালক। বাকিরা রাস্তায় ট্রাক্টর ফেলে চম্পট দেয়। পুলিস জানিয়েছে, রামপুরহাটের শালবনীতে ব্রাহ্মণী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে ঝাড়খণ্ডের পিনারগড়িয়া গ্রাম হয়ে ফের রামপুরহাটে ঢুকছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই শালবুনী, খড়িডাঙা, লালডাঙা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রাহ্মণী নদী থেকে অবাধে বেআইনি ভাবে তোলা বালি পাচার হয়ে আসছে। ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এখানে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের বালি মাফিয়ারা মিলেমিশে একাকার। কিছুদিন আগে বীরভূমে বালি পাচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও কিছু জায়গায় বেপরোয়াভাবে চলছিল বালি পাচার। বিভিন্ন থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই গাড়ি আটকের পাশাপাশি চালকদের গ্রেপ্তার করে। যদিও গত ৯ জানুয়ারি রাতে পুলিসের একটি দল লালডাঙা এলাকায় অভিযানে আসে। বালি বোঝাই গাড়িগুলি দাঁড় করাতেই মাফিয়া ও তাদের দলবল পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইঁটের আঘাতে দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। ভাঙে একটি গাড়ির কাঁচ। বেগতিক বুঝে পুলিস ফিরে আসে। এরপরই রামপুরহাটের বিভিন্ন বালি ঘাট যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি ঢোকা বন্ধ করেছে পুলিস। সর্বদা নজরদারি চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারপরও নয়া ফন্দি এঁটে বালি পাচার করে আসছে মাফিয়ারা। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে এদিন ফোর্স নিয়ে অভিযানে নামেন এসডিপিও গোবিন্দ শিকদার ও আইসি সুকোমল ঘোষ। তাঁরা রামপুরহাট দুমকা রোডের সুরিচুঁয়ার ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে সাতটি অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করেন।