নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা কালিয়াচক: মালদহে ফের শ্যুটআউট। মঙ্গলবার মদের আসরে বচসার পর গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হলেন দু’জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একজনের। নিহত প্রদীপ কর্মকার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার রাধানাথটোলা এলাকার বাসিন্দা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন নিরঞ্জন দাস। তাঁর বুকে গুলি লেগেছে বলে খবর।
মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, নিমাই ঘোষ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে। তাকে আগে অন্য একটি মামলায় পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বৈষ্ণবনগর থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই নিমাইকে আটক করে রাখা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে কি না পুলিস তা স্পষ্ট করেনি।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বৈষ্ণবনগর থানার বীরনগর-১ পঞ্চায়েতের রাধানাথটোলা গ্রামে। নিরঞ্জনের বাড়িতে প্রদীপ ও নিমাই বসে মদ্যপান করছিল। সেই সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ,বচসা চলাকালীন কোমর থেকে পিস্তল বের করে নিরঞ্জন ও প্রদীপকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিমাই। এরপরই বাকিরা সেখান থেকে ভয়ে পালিয়ে যায়। পরপর গুলির আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।
খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছান কালিয়াচকের এসডিপিও ফয়জল রেজা। বৈষ্ণবনগর থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনীও চলে আসে। এদিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় নিরঞ্জন বলেন, নিমাই গালাগালি দিচ্ছিল। প্রতিবাদ করতেই সে আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়। তবে, নিরঞ্জন লাইসেন্স ছাড়াই বাড়িতে মদের ব্যবসা করে বলে অভিযোগ।
কিছুদিন আগে মালদহের ইংলিশবাজার শহরে খুন হন তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার। কয়েকদিনের মধ্যেই কালিয়াচকের যদুপুরেও গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। মারা যান শাসক দলেরই এক কমী। মঙ্গলবার ফের শ্যুটআউট হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এছাড়াও বিপুল অস্ত্র কোথা থেকে আসছে, তা নিয়েও প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, টানা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার না করলে এলাকায় এভাবে খুন হতেই থাকবে।