• দ্বৈরথে সুকান্ত-শুভেন্দু? অভিযোগ নাড্ডার কাছে
    এই সময় | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারীর মতানৈক্যের জল গড়াল দিল্লি পর্যন্ত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে ইমেল করে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সহ–সভাপতি সামসুর রহমান ইমেল করে নাড্ডার কাছে জানতে চেয়েছেন, দলের দুই শীর্ষ নেতা যে ভাবে নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে বাগযুদ্ধ চালাচ্ছেন, তাতে পার্টির শৃঙ্খলাভঙ্গ হচ্ছে কিনা?

    সম্প্রতি বিজেপির একটি সাংগঠনিক বৈঠকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাজির না থাকা নিয়ে ‘কমফর্ট’ প্রসঙ্গ তোলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে চলা সাংগঠনিক বৈঠকগুলিতে ‘কমফর্ট’ বোধ করেন না শুভেন্দু। জবাব দিতে দেরি করেননি শুভেন্দুও। বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার দ্বৈরথ নিয়ে দলের অন্দরেও চর্চা চলছে। বিজেপির একাংশ মনে করছেন, দলের শীর্ষ নেতাদের প্রকাশ্য মতানৈক্য নিচুতলার কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।

    সামসুর তাঁর ইমেলে নাড্ডাকে লিখেছেন, ‘রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা যে ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাতে দলের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল নষ্ট হচ্ছে। বিজেপির মরা গাঙে জোয়ার আসার পরিবর্তে আরও ভাটা পড়ছে। তাই এখনই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। না হলে আগামী বিধানসভা ভোটে অত্যন্ত লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে বাংলায়।’

    যদিও সামসুরের ইমেলকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের যুক্তি, সামসুর বিজেপিতে সক্রিয় নন। নিজেকে ভাসিয়ে রাখার জন্যে মাঝেমধ্যে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকেন। তবে এ নিয়ে বঙ্গ–বিজেপির কেউ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনাচক্রে আজ, বৃহস্পতিবার সুকান্ত এবং শুভেন্দু, দু’জনেরই দিল্লিতে থাকার কথা। সেখানে এই ইস্যুতে নতুন কোনও মাত্রা যোগ হয় কিনা, আপাতত সে দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।

  • Link to this news (এই সময়)