মার খেয়ে হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক, পঠনপাঠন স্বাভাবিক করতে স্কুলে বৈঠক কর্তৃপক্ষের ...
আজকাল | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলের সহ শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হাতে 'আক্রান্ত' হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদের নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলে পঠনপাঠন স্বাভাবিক করতে আজ পদক্ষেপ করল জেলা শিক্ষা দপ্তর এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সরস্বতী পুজোর ছুটি শেষে মঙ্গলবার স্কুল খুলতেই সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ বিদ্যালয় ভবনে বৈঠক করেন স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এবং জেলা শিক্ষা দপ্তরে তরফ থেকে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস (মাধ্যমিক) দেবনারায়ণ শেঠ।
গত শুক্রবার স্কুলের রুটিন পরিবর্তন করা নিয়ে ফরাক্কা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে ওই স্কুলের ৪ জন শিক্ষক এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিবাদ বাধে বলে অভিযোগ। সেই সময় প্রধান শিক্ষককে ব্যাপক মারধর করে তার পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ওই প্রধান শিক্ষক মালদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করার পর বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন,' প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি আজকের বৈঠকে এটাও আমরা জানতে পারলাম স্কুলের বহু শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়মিত হুমকি দিতেন ওই প্রধান শিক্ষক। এর পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ এনেছেন একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষক অনেক ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়মিত মানসিক অত্যাচার করতেন বলে আজ আমার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।' বিধায়ক বলেন ,'স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছাত্রী অবিলম্বে ওই প্রধান শিক্ষকের এই স্কুল থেকে বদলির দাবি করেছেন। আমরা শিক্ষা দপ্তরের কাছে একই দাবি রাখছি। আজকের বৈঠকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা সহমত হয়েছেন দ্রুত স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে এসে স্বাভাবিক পাঠন-পাঠন শুরু হবে।' যদিও আজকের বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কিছু বলতে রাজি হননি শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি দেবনারায়ণ শেঠ। তিনি বলেন,' সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমি যে তথ্য পেয়েছি তা রিপোর্ট আকারে অতি দ্রুত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমর কুমার শীল-এর কাছে তুলে দেওয়া হবে। তারপর তিনি যাবতীয় ব্যবস্থা নেবেন।'