গা ঢাকা দিয়েও রক্ষে নেই, ২ সপ্তাহ পর পুলিশের জালে ট্যাংরায় হেলে পড়া বহুতলের প্রোমোটার
প্রতিদিন | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিরুফা খাতুন: দু সপ্তাহ গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে ট্যাংরার হেলে পড়া বহুতলের প্রোমোটার। ট্যাংরা থানা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে ক্রিস্টোফার রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রজত লি নামে বছর আটষট্টির ওই ব্যক্তিকে। বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। এবার গ্রেপ্তার করা হল। আজই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
ঘটনা গত ২২ জানুয়ারির। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে দীর্ঘদিন ধরে বহুতল নির্মাণের কাজ চলছিল। বাইরে প্রাথমিক কাজ শেষ হয়ে গেলেও ভিতরের কাজ বাকি ছিল বলেই খবর। এরই মাঝে ঘটে যায় ভয়ংকর কাণ্ড! স্থানীয়রা দেখতে পান, বহুতলটি একদিকে হেলে পড়েছে। এর ঠিক আগে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির একটি বহুতলও এভাবেই হেলে পড়েছিল। তাতে তুমুল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আবাসিকরা। ফলে ট্যাংরার ঘটনাতেও স্বভাবতই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভায়। পুর আধিকারিকরা সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
সেইমতো ৩০ তারিখ থেকে ভাঙার তোড়জোড় শুরু হয়। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাঙায় আপত্তি তোলেন বাড়ির বাসিন্দারা। ভিতর থেকে কোলাপসিবল গেট আটকে দেন তাঁরা। বাসিন্দাদের যুক্তি, তাঁরা বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত কোনও নোটিস পাননি। পুনর্বাসন না দিলে বাড়ি ভাঙতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁরা। তার পরেরদিনই অবশ্য বাড়িটি ভাঙা শুরু হয় এবং মেয়র আশ্বাস দেন, আবেদন করলে বাসিন্দাদের বাংলা আবাস প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। তবে খোঁজ চলছিল পলাতক প্রোমোটারের। এবার তিনি গ্রেপ্তার হলেন।