• ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে ৩ মাস আগেই জানিয়েছিলেন: মমতা
    এই সময় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাজ্যে লগ্নি টানতে চলতি বছরও বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (বিজিবিএস)-এর আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগে অংশ নেওয়ার কথা মুকেশ আম্বানির। বুধ এবং বৃহস্পতিবার রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিজিবিএস। তার আগে এই কর্মসূচি নিয়ে একগুচ্ছ উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    চলতি বছর বিজিবিএস-এ অংশ নিতে চলেছে ৪০টি দেশ। তার মধ্যে ২০টি ‘পার্টনার’ দেশ রয়েছে বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এই বছর সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে ডিনারের পরিবর্তে চা পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে। আসার কথা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীরও। 

    তিনি বলেন,  ‘ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আসার কথা। তা অক্টোবর মাসেই নিশ্চিত করেছিলেন। মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দালও আসবেন।’ তাঁর সংযোজন ছিল, ‘এখনও পর্যন্ত জানি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী কাল সকালে (বুধবার সকালে) আসবেন। কিন্তু আমার কাছে কিছু তথ্য আসছে যে দিল্লির সঙ্গে কিছু হচ্ছে। তবে আমি চাই তিনি আসুন। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে হবে জাতীয় স্বার্থে।’

    ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় আসার ক্ষেত্রে কি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি? এই প্রশ্ন করা হলে এখনই তার কোনও জবাব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, এখনও পর্যন্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আসবেন না , এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না।

    উল্লেখ্য, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যের মূল উদ্যোগ থাকে বিনিয়োগ টানা, কর্মসংস্থান, রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন। বিশেষজ্ঞ মহলের কথায়, বিশ্বের তাবড় তাবড় শিল্পপতিরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন। রাজ্য সরকার বরাবর বড় শিল্পের পাশাপাশি কৃষিপণ্য এবং কুটির শিল্পের উপরেও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। সঙ্গে বঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পর্যটন। বিজিবিএস-এ এই সমস্ত সেক্টরগুলি আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘এই উদ্যোগ অভিনব।’ এই কর্মসূচির সুফল রাজ্যের শিল্পের হাল আরও ফেরাবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।

  • Link to this news (এই সময়)