• মেয়েকে পাশের বাড়ি পাঠিয়ে দরজায় খিল, পরে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ, রহস্য
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • কলকাতায় ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নেতাজি নগর থানা এলাকায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হলো এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম, তনুশ্রী মাঝি (৩৫)। পেশায় তিনি বিউটিশিয়ান। পরিবারে তরুণীর স্বামী ছাড়াও রয়েছে চার বছরের মেয়ে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নিজের চার বছরের মেয়েকে প্রতিবেশীর বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আসেন তনুশ্রী। সে সময়ে তিনি প্রতিবেশীকে জানান, একটু কাজের জন্য তাঁকে বেরোতে হচ্ছে। দুপুর একটার মধ্যে এসে মেয়েকে তিনি নিয়ে যাবেন। যদিও প্রতিবেশীর দাবি, তনুশ্রী ফিরে এসে আর তাঁর বাড়ি আসেননি। প্রতিবেশীর কথায়, দুপুর দেড়টা নাগাদ তনুশ্রীকে তিনি ফিরে আসতেও দেখেছিলেন। কিন্তু, এক ঘণ্টারও বেশি কেটে যাওয়ার পরও মেয়েকে নিতে না আসায় ওই প্রতিবেশীর সন্দেহ হয়। তিনি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে তনুশ্রীকে অনেকবার ডাকাডাকিও করেন। শেষ পর্যন্ত কোনও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

    খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয় নেতাজি নগর থানার পুলিশ। তারা এসে দরজা ভাঙতেই ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

    কেন এই ঘটনা তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট বা অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, গত ছয় মাস ধরেই স্বামী দেবাশিস মাঝির সঙ্গে লাগাতার ঝামেলা চলছিল তনুশ্রীর। দাবি, তার জেরে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন ওই তরুণী। মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে রয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন। যেমন, কোথায় গিয়েছিলেন তনুশ্রী, যেখান থেকে ফেরার পর হয় এমন পরিণতি? ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু পারিবারিক অশান্তি নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক কর্তা।

  • Link to this news (এই সময়)