• দত্তপুকুরের কাটা মুন্ডুর রহস্যভেদ, খুনের কারণ জানলে চমকে উঠবেন
    আজকাল | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে দত্তপুকুরের কাটা মুন্ডুর রহস্য ভেদ হল। হাতে লেখা ট্যাটুর ‘‌বি’‌ দেখে জানা গেল নিহত যুবকের পরিচয়। নাম হজরত লস্কর (২৯)। তাঁকে খুনের অভিযোগে ওবায়দুল মন্ডল নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হজরত ও ওবায়দুল দু’‌জনেই গাইঘাটার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃত ওবায়দুলকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। 

    সোমবার দত্তপুকুর থানার মালিয়াকুর–বাজিতপুর এলাকায় মাঠের মধ্যে এক যুবকের মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু মৃতের কোনও পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। কাটা মুন্ডু খুঁজতে পুলিশ পার্শ্ববর্তী খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু সেই কাটা মুন্ডুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার বিকেলে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। গাইঘাটা থানায় হজরত লস্কর নামে এক যুবকের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তখন পরিবারের সদস্যদের বারাসত হাসপাতালে আসার কথা বলা হয়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছন। তারপর তাঁরা হাতের ‘‌লভ’‌ ট্যাটু ও ইংরেজি হরফে ‘‌বি’‌ লেখা দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। খবর পৌঁছয় দত্তপুকুর থানায়। পরিবারের লোকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, ২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকেই হজরত নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় হজরতের সঙ্গে ওবায়দুল ছিল। হজরত নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ওবায়দুলকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার বিকেলে হজরতের দেহ শনাক্ত হওয়ার পর পুলিশ ওবায়দুলের মোবাইল লোকেশন ট্রাক করে। পুলিশ জানতে পারে, বারাসত স্টেশন চত্বরে সে ঘোরাফেরা করছে। আচমকা পুলিশ বারাসত স্টেশন চত্বর থেকে তাকে পাকড়াও করে। থানায় নিয়ে জেরায় সে ভেঙে পড়ে। পুলিশের দাবি, জেরার সময় হজরতকে সে খুন করার কথা কবুল করে। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হজরতের আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। নিহত যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, কয়েকমাস আগে হজরতের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর তাঁরা গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকত। আঙুলকাটা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল মণ্ডল সম্পর্কে হজরতের তুতো ভাই হয়। 

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরানো কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওবায়দুল হজরতকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। খুনের আগে ওই কৃষিজমিতে বসেই তারা দু’‌জন মদ খেয়েছিলেন। অত্যধিক মদ খাইয়ে ওবায়দুল হজরতকে খুন করে। প্রমাণ লোপাট করতেই মুন্ডু কাটা হয়েছে। যৌনাঙ্গের উপরের অংশ ক্ষত করা হয়েছে। পাশাপাশি দেহে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধৃতকে জেরা করে হজরতের কাটা মুন্ডুর খোঁজ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)