• বিষ্ণুপুরে পঞ্চায়েত এলাকার পুকুর ভরাট রুখে দিলেন দুই কাউন্সিলার
    বর্তমান | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: শুক্রবার বিষ্ণুপুরের হাতিপুল সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুকুর ভরাট রুখে দিলেন পুরসভার দুই কাউন্সিলার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহরের বাইপাসের ধারে দ্বারিকা-গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত একটি জলাশয়ে মাটি ফেলে কয়েকদিন ধরে ভরাট করা হচ্ছিল। দিনের বেলাতেই শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকায় পুকুর ভরাট হচ্ছে দেখে বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮ এবং ১১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার  ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি জেসিবি ও ট্রাক্টরের চালকরা গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে বিষয়টি দুই কাউন্সিলার বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনকে জানান। 


    বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, শহর লাগোয়া দ্বারিকা-গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ভূমিদপ্তরকে বলা হয়েছে।  


    বিষ্ণুপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি হাতিপুল সংলগ্ন ওই পুকুরের জল চাষের কাজে ব্যবহৃত হতো। এখন হঠাৎ করে ওই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করি। বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের নজরে আনি। 


    ১১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবজিৎ কুণ্ডু বলেন, হাতিপুল এলাকায় আমাদের চাষের জমি রয়েছে। সেখানে থাকা পুকুর ভরাটের খবর পেয়ে যাই। পরে প্রশাসনকে জানানো হয়। অন্যায়ভাবে পুকুর ভরাট করতে দেওয়া যাবে না। 


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিপুল সংলগ্ন বাইপাসের ধারে বহু চাষের জমি রয়েছে। সেখানে একটি জলাশয় থেকে সেচ দেওয়া হতো। শহর লাগোয়া এবং মেন রাস্তার ধারে হওয়ায় বর্তমানে ওই এলাকায় প্রচুর জমি প্রমোটররা প্লট করে বিক্রি করছেন। তাতেই এলাকার জমির দামও বেড়ে গিয়েছে। জলাশয় বুজিয়ে বিক্রির ছক কষার খবর শুনেই বিষ্ণুপুর পুরসভার দুই কাউন্সিলার সেখানে আসেন। মহকুমা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। তারপরেই পুকুর ভরাট বন্ধ হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)