রাজনগরে পোল্ট্রি থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ, প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি
বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, সিউড়ি: রাজনগর ব্লকের আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠেছে প্রচুর পোল্ট্রি ফার্ম। এই ফার্মগুলি থেকে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের। অভিযোগ, গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে পোকা মাকড়ের উপদ্রবের পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম থেকে নির্গত দূষিত জলে ক্ষতি হচ্ছে চাষের জমি ও ফসলের। এছাড়াও ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে, থানায় ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু দূষণ নিয়ন্ত্রণ কোনও ভাবে সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য সরকার মানুষের ডিমের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি জেলাতেই ডিম উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে প্রচুর পোল্ট্রি ফার্ম। সেই ফার্ম গড়ে তোলার জন্য সরকারি ভাবে সাহায্যও করা হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি ফার্মগুলিতে স্থানীয় মানুষের কর্ম সংস্থান হচ্ছে। ফলে সার্বিক ভাবে উপকৃত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু ফার্মের দূষণ গ্রামবাসীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। রাজনগর ব্লকের চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় ৩০টির বেশি পোল্ট্রি ফার্ম। এলাকার কুসমাশোল, বনকাটি সহ বেশকিছু গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের এলাকায় পোল্ট্রির মুরগির মল জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি এক বিশেষ ধরনের পোকার উৎপাত বাড়ছে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে। এছাড়া হিরাকুনি, নারায়ণপুর, বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের এলাকার ফার্মের দূষিত জল চাষের জমিতে ঢুকে জমি ও ফসলের ক্ষতি করছে। এর জন্য ফার্মগুলিকে এলাকায় ওষুধ স্প্রে করার নির্দেশ দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। গ্রামবাসী ভকত দাস, মানস কাহার বলেন, পোল্ট্রি ফার্মগুলি হওয়ায় অনেকের উপকার হয়েছে। অনেকে কাজ পেয়েছেন। ডিম ও মুরগির মাংসের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু ফার্ম থেকে দূষণ ছড়িয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে। গরমে এই সমস্যা আরও বাড়ে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জানা গিয়েছে, চন্দ্রপুরে বেশকিছু বৃহদাকার ফার্ম রয়েছে। সেখানে লক্ষাধিক মুরগি পালন হয়। সেই মুরগি বীরভূম ছাড়াও ঝাড়খণ্ডেও বিক্রি হয়। সেই সঙ্গে এই রাজ্যের পোল্ট্রি মুরগি ও ডিমের চাহিদাও অনেকখানি পূরণ করে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পোল্ট্রি ফার্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ফার্ম গ্রাম বা বসতি এলাকা থেকে দূরে করাই উচিত। দূষণ ছড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।