সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুরে সাধন স্মৃতি সঙ্ঘের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রবিবার খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দর্শকদের উন্মাদনা দেখা গেল। এদিন শহরের মিশন হাইস্কুল মাঠে ক্লাবের পতাকা তুলে প্রতিযোগিতার সূচনা করেন এই সঙ্ঘের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বসু। সেখানে ক্লাবের সম্পাদক মহাদেব দে, অন্যতম কর্মকর্তা তথা সন্তোষ ট্রফিতে খেলা ক্রীড়াবিদ তমালকুমার মণ্ডল, প্রাক্তন সম্পাদক ফটিক সরকার, স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ইপ্সিতা বসু সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন প্রথমে মাঠে মশাল দৌড় হয়। তারপর পুরুষ ও মহিলাদের অ্যাথলেটিকস ও ফুটবল প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়। মাঠে ক্লাবের সাধারণ সদস্যদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ১৯৭৭সালে আমাদের ক্লাবের পথ চলা শুরু। তমালবাবুর হাত ধরেই ক্লাব গঠিত হয়। ক্রীড়াপ্রেমী সাধনকুমার পরামানিকের নামানুসারে ক্লাবের নামকরণ হয়। আমাদের ক্লাবে অনুশীলন করে বিভিন্ন খেলোয়াড় জেলা ও রাজ্যস্তরে খেলায় সাফল্য পেয়েছে। প্রতিবছর ক্লাবের তরফে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া হয়। এবছরই তিনটি প্রতিযোগিতায় আমরা জয়ী হয়েছি। কয়েকবছর আগে আমরা মহিলা ফুটবল দল তৈরি করেছি। তারা নিয়মিত অনুশীলন করে। আগামী বছর আমাদের ক্লাবের ৫০বছর পূর্তি হবে।
সম্পাদক বলেন, প্রতিবছর ক্লাবের তরফে বার্ষিক ক্রীড়া আয়োজন করা হয়। প্রথমদিকে শুধু ফুটবল প্রতিযোগিতা হতো। পরে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এবার অ্যাথলেটিকসের ৩৬টি ইভেন্ট হয়েছে। সাধন স্মৃতির সঙ্ঘের মহিলা সদস্যাদের নিয়ে পৃথক ইউনাইটেড ক্লাব তৈরি হয়েছে। সেই ক্লাবের সদস্যারাও সক্রিয়ভাবে ক্রীড়া আয়োজনে অংশ নেন। প্রতিযোগিতা শেষে জয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিষ্ণুপুরের ফুটবলচর্চায় সাধন স্মৃতি সঙ্ঘের নাম উল্লেখযোগ্য। অনেক প্রবীণ মানুষ যেমন এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত, তেমনি নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও ক্লাবের সদস্য হয়েছে। ক্লাবের নিজস্ব মাঠ নেই। স্কুলের অনুমতি নিয়ে মাঠে অনুশীলন করানো হয়।