• বাউন্ডারি ওয়ালের উপরে নির্মাণের অভিযোগ ঘিরে অশান্তি টালিগঞ্জে
    বর্তমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের (বাউন্ডারি ওয়াল) উপরেই নির্মাণের অভিযোগ। তা নিয়েই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গণ্ডগোল টালিগঞ্জ থানা এলাকার গ্রোভ লেনে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ শুনে আসরে কলকাতা পুরসভাও।


    কলকাতার ৮৪ নম্বর ওয়ার্ড। ১৫/১এ গ্রোভ লেন। এই বাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর দাস এবং তাঁর স্ত্রী নুপূর দাসের অভিযোগ, ঠিক লাগোয়া বাড়ি, ৯/২এ-এর বাসিন্দা, পেশায় চাল ব্যবসায়ী অশোক সাউ নিজের একতলা বাড়িকে বেআইনিভাবে তিনতলা বাড়িতে পরিণত করেছেন। দুই বাড়ির মধ্যে বাউন্ডারি ওয়াল একটাই। দাস পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি অশোক সাউ সেই বাউন্ডারি ওয়ালের উপরেই নির্মাণ করেছেন। এবং ছাদে একটি শেডও বেআইনিভাবে তৈরি করেছেন। যেহেতু দু’টি লাগোয়া বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল কমন, তাই দাস পরিবারের অভিযোগ এসেছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে। শঙ্কর দাস বলেন, অশোক সাউ নতুন করে ওই একই বাউন্ডারি ওয়ালের উপর একটি টিনের গার্ড দিয়েছেন। সেই শেডের আড়ালে ফের বেআইনি নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি নুপূর দাসের দাবি, তাঁরা প্রতিবাদ করায় শারীরিকভাবে নিগ্রহও করা হয়। 


    যদিও, সাউ পরিবারের দাবি, পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের নিয়ম মেনেই তাঁরা কাজ করছেন। যদিও, উপরের শেডটা না জেনেই করেছেন বলে স্বীকার করে নেন অশোকবাবু। জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে পুরসভা থেকে অফিসারেরা এসে দেখেও গিয়েছেন জায়গাটি। তবে নিগ্রহ প্রসঙ্গে সাউ পরিবারের দাবি ঠিক উল্টো। পরিবারের তরফে অশোক সাউয়ের দাদা অনিল সাউ বলেন, ওঁরা মিথ্যা কথা বলছেন। আমাদের পরিবারের কেউ ওঁদের গায়ে হাত তোলেননি। উল্টে নুপূর দাসই আমাদের পরিবারের মেয়ের গায়ে হাত তুলেছেন। সেই দাবি করে একটি ভিডিও প্রমাণ হিসেবে দেখায় সাউ পরিবার। বর্তমান ভিডিওটির সত্যতা যাচাই না করলেও সেখানে দেখা যাচ্ছে, নুপূর দাস অশোকবাবুর কন্যা শ্বেতা সাউয়ের গায়ে হাত তুলছেন। 


    এই পারিবারিক বিরোধ এবং অবৈধ নির্মাণ সম্পর্কে স্থানীয় ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পারমিতা চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দু’পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। ওঁদের অভিযোগ আমি পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। মেয়ের বিয়ের জন্য অশোক সাউ বাড়ির উপরে শেড করেছেন বলে জানতে পেরেছি। পুরসভার পক্ষ থেকে আধিকারিকেরা জায়গাটি ঘুরে দেখে ৪০১ ধারায় নির্মাণ বন্ধের নোটিস দিয়েছেন বলেও শুনেছি। তারপরেও নির্মাণ হয়েছে কি না, বলতে পারব না। আর, মারধরের অভিযোগ পুলিসে জানাতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)