আরজি কর কাণ্ডে কি এবার সিবিআই-এর উলটো সুর শুভেন্দুর গলায়? বিরোধী দলনেতা বললেন…
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসকের জন্মদিন ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। প্রসঙ্গত, এরই ঠিক ৬ মাস আগে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে সেই তরুণী চিকিৎসককে। এই আবহে ৯ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘নির্যাতিতার মা-বাবা ঠিক বলছেন।’ এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দু কি বলতে চাইলেন যে এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় একা জড়িত থাকতে পারে না? উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আদালতে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুধুমাত্র সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেই চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। এই আবহে সিবিআই তদন্তে 'অসন্তোষ' প্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীও তাঁদের সুরে গলা মেলালেন। বললেন, 'চোখ থাকতে যাঁরা অন্ধ, কান থাকতে যাঁরা শুনতে পান না, তাঁরা ছাড়া সবাই আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে আছেন।'
৯ ফেব্রুয়ারি পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, 'পরিবারের সঙ্গে আমরা আছি। তরুণী চিকিৎসকের পরিবার এখনও বিচার পায়নি। আমরা সবাই বিচার চাই। কলকাতা পুলিশ প্রমাণ লোপাট করেছে। নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার সঠিক বিচার না পেলে এই সরকারকে কীভাবে বিসর্জন দিতে হয়, তা মানুষ জানে।' শুভেন্দু আরও বলেন, 'নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা যা বলছেন, সব ঠিক বলছেন। বাবা-মাকে কুর্নিশ জানাই। তাঁরা মেরুদণ্ড সোজা রেখেছেন। বলেছেন, রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া যেখানে ডাকবে, সেখানে যাবেন। এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষের এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত।'
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বলেছিলেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়।