বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের সকলকে একসঙ্গে চলার বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘একবার ভুল করলে ক্ষমা করা যায়, বার বার নয়।’
বিধানসভায় সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। বুধবার পেশ হবে রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। অধিবেশন বসার আগে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সব বিধায়ককে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দলীয় তরফে, সূত্রের খবর এমনটাই।
এ দিনের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বিধায়কদের উদ্দেশে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, কোনও বিধায়ক যাতে বার বার ভুল না করেন। মদন মিত্র ভুল করলেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, তা-ও জানান মমতা।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, গত দু'মাসের মধ্যে দলের একাধিক বিধায়কের মন্তব্য এবং আচরণ নিয়ে বিস্তর অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। এই তালিকায় ছিলেন মদন মিত্র, নারায়ণ গোস্বামী, বিবেক গুপ্ত, হুমায়ুন কবীর। কিন্তু পরে অবশ্য তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মদন। তৃণমূলের একাংশের পর্যবেক্ষণ তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ, বিবেক, হুমায়ুনের (ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক) উদ্দেশেই ঘুরিয়ে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একটি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে কিছু অসংলগ্ন মন্তব্য করতে শোনা যায় নারায়ণ গোস্বামীকে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। যদিও তার সত্যতা ‘এই সময় অনলাইন’ যাচাই করে দেখেনি। অন্যদিকে, সম্প্রতি উত্তর কলকাতার চিত্তরঞ্জন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তকে সরিয়ে শশী পাঁজাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর হুমায়ুনের ‘ঠোঁট কাঁটা’ মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন নয়। সেই জায়গা থেকে এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধীদের কোর্টে কোনও লুজ় বল দিতে নারাজ তৃণমূল। সেই জায়গা থেকে দলনেত্রীর এই বার্তা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একইসঙ্গে দলের সকলকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে, বার্তা দলনেত্রীর।