• বনকর্মীর মাথায় কামড় দেওয়া বাঘ মামা জালে! ভোররাতের অপারেশান ছাগল টোপেই খাঁচাবন্দি...
    ২৪ ঘন্টা | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • তথাগত চক্রবর্তী: অবশেষে স্বস্তি ফিরল কুলতলিতে। ভোররাত ৩টা ৩২ মিনিট নাগাদ বাঘ খাঁচাবন্দি হয়। সবজি খেতের মধ্যে ২টি খাঁচা পাতা হয়েছিল। টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল ছাগল। তাতেই খাঁচাবন্দি হয়। বাঘের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। আজই বাঘকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।

    তারা জানান, মাঝেমধ্যে বাঘ এলেও এইভাবে একেবারে লোকালয়ে চলে আসেনি। খুবই আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন তারা। সারারাত কার্যত বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন। বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ার খবরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। রবিবার রাত থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘ দেখতে পান। তারা খবর দেন বনদফতর ও থানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তরের কর্মীরা ও কুলতলি থানার পুলিস। 

    বাঘটি যাতে কোনওভাবে রাতের অন্ধকারে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নগেনাবাদ ৯ নম্বর মুলার জেটিঘাটের কাছে গ্রামের দিক বরাবর নাইলনের জাল লাগিয়ে দেওয়াও হয়েছিল। এর ফলে রাতে গ্রামে বাঘ না ঢুকলেও সকালে খবর মেলে, নাইলনের জালের আশপাশেই রয়েছে বাঘ। সেই মতো বাঘকে বন্দি করার পরিকল্পনা করা হয়। স্থানীয় টাইগার টিমের সদস্যেরা বাঘকে বন্দি করতে গিয়েছিলেন।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময়েই টাইগার টিমের এক সদস্য গণেশ শ্যামলের উপর বাঘটি হামলা চালায়। কামড়ে ধরে তাঁর ঘাড়। সহকর্মীকে বাঁচাতে দলের বাকি সদস্যেরা লাঠি দিয়ে বাঘটিকে আঘাত করেন। তাতে বনকর্মীকে ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ে বাঘটি। আহত বনকর্মী এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার সাঁপুই নামে এক যুবক জেটিঘাটের কাছে বসেছিলেন।

    সেই সময় শ্মশানঘাটের কাছে একটি বাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলেন তিনি। গ্রামে ফিরে সে কথা জানাতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পরে গ্রামের লোকজন গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের দিকে যান লাঠিসোঁটা নিয়ে। সেখানেও তাঁরা বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন। তার পরেই খবর দেওয়া হয়েছিল বন দফতরে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)