• সস্তা হবে বিদ্যুৎ, দেউচা নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
    প্রতিদিন | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাম আমলে লোডশেডিংয়ের সমস্যায় বেজায় ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তবে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর সে সমস্যা গায়েব। লোডশেডিং যে কী, তা প্রায় ভুলেই গিয়েছে বাংলাবাসী। আগামী ১০০ বছর রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে খরচও হবে কম। বুধবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশের পর দেউচা পাচামি নিয়ে বড় ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

    এদিন তিনি বলেন, “দেউচা পাচামিতে অনেক ছেলেমেয়ে হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছে। আদিবাসীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টাকা চেয়েছেন দিয়েছি। এলাকায় বাড়ি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সব দিয়েছি। ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। এখন আমাদের জমিতেই কাজ হচ্ছে। আরও কিছু জমি লাগবে। বাকি জমি যাঁরা দেবেন তাঁরাও টাকা, বাড়ি সব পাবেন। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাশিল্প হচ্ছে দেউচা পাচামিতে। আগামী প্রজন্ম ১০০ বছর যাতে লোডশেডিংয়ের সমস্যায় না ভোগে এবং বিদ্যুতের দাম যাতে না বাড়ে তাই এই প্রকল্প। কমপক্ষে ১ লক্ষ যুবক-যুবতী চাকরি পাবেন। কয়লা উৎপাদন হলে বিদ্যুতের দামও কমে যাবে।” সিইএসসি নিয়ে মমতা আরও বলেন, “রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম না বাড়ালেও সিইএসসি বাড়ায়। মানুষকে অনেক ভুগতে হয়। ওটা আমাদের হাতে নেই। ওটা স্বশাসিত সংস্থা। সিপিএম সরকারে থাকাকালীন দিয়ে গিয়েছে। দিল্লির একটা কী বোর্ড আছে তার মাধ্যমে। যাই হোক ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম অনেক কমে যাবে।”

    উল্লেখ্য, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তৈরি পরিকাঠামো, চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বীরভূমের দেউচা-পাচামি কয়লাখনিতে কাজ শুরু করা যাবে। তাঁর কথা রেখে অতি তৎপরতার সঙ্গে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হয় এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনিতে। যদিও দেউচা-পাচামিতে এভাবে কাজ শুরু হওয়া মোটেই সহজ কাজ ছিল না। জমিদাতাদের যথাযথ পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক সাহায্যের প্রশাসনিক আশ্বাস থাকলেও কয়লাখনি এলাকার বাসিন্দারা অনেকে আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, কয়লা উত্তোলন করা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। বনাঞ্চল কাটা পড়বে। তবে প্রশাসনের লাগাতার প্রচারে সেসব সমস্যা মিটেছে। অবশেষে শুরু হয় কাজ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)